সিঙ্গুর খুনের দু’দিন পর ফের খুন। এবারের ঘটনাস্থান চণ্ডীতলা। সেখানে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। সোমবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলায়। পুলিশ এক জনকে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ (৪৫), তাঁর স্ত্রী মিতালী (৩৬) এবং তাঁদের মেয়ে শিল্পাকে (১৭) কুপিয়ে খুন করে তাঁদেরই আত্মীয় শ্রীকান্ত ঘোষ। বিকাশ ঘোষ নামে তাঁদের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘শ্রীকান্ত ঘোষ সাত-আট মাস আগে মুম্বই থেকে এসেছিল। তার পর থেকে তাকে দেখে অবসাদগ্রস্ত বলে মনে হত। ও কারও সঙ্গে কথা বলত না। ওদের মধ্যে জমিজায়গা নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছিল তা কখনও বলেনি। আজ শুনতে পেলাম, শ্রীকান্ত শাবল দিয়ে প্রথমে সঞ্জয়কে মারে। তখন মিতালী কুটনো কুটছিল। সে বাধা দিতে গেলে ওকেও খুন করে।
আরও পড়ুন: Singur : সম্পত্তি নিয়ে গণ্ডগোল, আত্মীয় কোপালো একই পরিবারের চারজনকে, নিহত দুই
শিল্পা পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওকে প্রথমে শাবল দিয়ে মারে। তার পর চপার দিয়ে খুন করে। এই ঘটনার পর শ্রীকান্ত পালিয়েছে। আমরা ওকে নানা জায়গায় খুঁজলাম। তবে দেখতে পাইনি।’’ পল্লব মান্না নামে আর এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘সম্পত্তি নিয়ে ওদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই বিবাদ চলছিল। শ্রীকান্তই আজ সকলকে খুন করে।’’
প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর খুন হন একই পরিবারের চারজন। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জের। প্রাণ খোয়াতে হয় একই পরিবারের ৪ জনকে। প্রৌঢ় দম্পতি দীনেশ প্যাটেল ও অনুষ্কা প্যাটেলকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ, প্যাটেল পরিবারের আত্মীয় যোগেশের বিরুদ্ধে। খুন করে পলাতক অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশ প্যাটেলের বাবা মাওজি প্যাটেল ও দম্পতির ছেলে ভাবিক প্যাটেলকেও। রাতে মৃত্যু হয় আরও দু’জনের।
তদন্তে আসে সিআইডি (CID) ও ফরেনসিকের বিশেষ প্রতিনিধি দল। গত শুক্রবার সাত সদস্যের ওই বিশেষ প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
আরও পড়ুন: লটারির নামে প্রতারণার ফাঁদ! লোভ করলেই অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা