13 killed including children in Kabul suicide bombing

ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল বিমানবন্দর,বিমান লক্ষ্য করে গুলি, শিশু-সহ নিহত ১৩

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল বিমানবন্দর (Kabul Airport)। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর স্কাই নিউজ সূত্রে। আহত অন্তত ৫০। পেন্টাগন সূত্রে খবর, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পূর্ব গেটের সামনে ঘটে বিস্ফোরণ।  বিস্ফোরণের ঘটনায় শিশু-সহ এখনও পর্যন্ত ১৩ মৃত্যু খবর সামনে এসেছে । আহত হয়েছেন তিন আমেরিকান সেনা ও বেশ কয়েক জন তালিবান সেনা। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এদিকে, শেষ পাওয়া খবরের মতে জঙ্গিদের সঙ্গে মার্কিন সেনার গুলির লড়াই চলছে। সংঘর্ষে তিন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। তার আগে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে কাবুল বিমানবন্দরে যাওয়া ইটালির বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালায় তালিবান জঙ্গিরা।

৩১ অগস্টের আগে বিমানবন্দরে চলছে বিভিন্ন দলের উদ্ধারকারী দলের তত্পরতা। সূত্রের খবর, ইতালির উদ্ধারকারী বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বিস্ফোরণে কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি টুইটে জানিয়েছেন বিস্ফোরণের কথা। তবে হতাহতের খবর তিনি দিতে পারেননি।

আরও পড়ুন : মিলল রাষ্ট্রপতির সম্মতি, প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি পাওয়ার পথে আরও এক পা এগলো দেশ

উল্লেখ্য, আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবান (Taliban)। জঙ্গিরা রাজধানী কাবুল দখল করার পর সে দেশ ছেড়ে দ্রুত পালাচ্ছে মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকরা। আর পালানোর একমাত্র পথ হচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর। কিন্তু আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার ছক তৈরি করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) বলে জানিয়েছিল পেন্টাগন।

বর্তমানে পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সমস্ত সীমান্ত চৌকি দখল করেছে তালিবান। ফলে আফগানিস্তান থেকে অন্য দেশে যেতে হলে কাবুল বিমানবন্দর ছাড়া গতি নেই। এপর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার নাগরিককে পাহাড়ি দেশটি থেকে বের করে এনেছে ওয়াশিংটন। এখনও সেখান দিয়েই মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে সেনা (Afghanistan) রাখতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এতেই বেজায় খাপ্পা জেহাদিরা। ডেডলাইন না মানলে ফল ভাল হবে না বলে আমেরিকাকে শাসিয়েছে তালিবান। আর পরিস্থিতি আরও জটিল করে এবার কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ছক তৈরি করছে ইসলামিক স্টেট।সেই হামলা ঠেকাতে বিমানবন্দরে প্রবেশের বিকল্প ও নিরাপদ পথ খুঁজছে মার্কিন ফৌজ।

শুধু কাবুল বিমানবন্দরই নয়, শহরের কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক’দিন আগেই বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আইএস। বিস্ফোরণের পিছনে তাদেরই হাত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : শাসক দলের সঙ্গে পুলিশের ঘনিষ্ঠতা ‘বিপজ্জনক প্রবণতা’: সুপ্রিম কোর্ট

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest