Thousands protest in Iran’s Isfahan to demand revival of river

‘নদীর প্রাণ ফিরিয়ে দাও’, ইরানের রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষের বিক্ষোভ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নদীকে বাঁচানোর দাবিতে উত্তাল হল ইরানের (Iran) ইসফাহান প্রদেশ। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেল ইরানের হাজার-হাজার নাগরিককে।

ঠিক যেখানে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে শামিল কমপক্ষে হাজারখানেক মানুষ, ঠিক সেখান থেকেই এক সময় বয়ে যেত দেশের অন্যতম বড় নদী! ইরানের ইসফাহান প্রদেশের প্রধান নদী ছিল জায়ানদেহ রুদ (Zayandeh Rud River)। নাগরিকদের অভিযোগ, সরকারি উদাসিনতায় শুকিয়ে গিয়েছে সেই নদীটি। যার জেরে বেজায় বিপাকে পড়েছেন সেই প্রদেশের বাসিন্দারা। বিশেষ করে কৃষিজীবীরা। নদী হারিয়ে যাওয়ায় লাটে উঠেছে তাঁদের জীবিকা। প্রভাব পড়ছে পরিবেশেও। অভিযোগ, বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করলেন তাঁরা।

 প্রথমে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কৃষকরা। পরে এসে যোগ দেন অন্যরাও। কারণ, জায়ানদেহ রুদের শুকিয়ে যাওয়া শুধু যে কৃষকদের জীবিকার উপরে থাবা বসিয়েছে তা নয়, তিলে তিলে এর কুপ্রভাব পড়েছে পরিবেশের উপরেও। তাঁদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘ইসফাহান তার শ্বাস ফিরিয়ে দাও, আমাদের জায়ানদেহ রুদ ফিরিয়ে দাও’। একই স্লোগান শোনা গেল তাঁদের গলাতেও। প্রসঙ্গত, নদীটির প্রাণ ফেরাতে বছর আটেক আগে ৯ দফা কর্মসূচি নিয়েছিল ইরানের নদী সংক্রান্ত শীর্ষ সংগঠন। কিন্তু সেই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়নি বলেই অভিযোগ।

নদীর প্রাণ ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ এই প্রথম নয়। বহু বছর ধরে দফায়-দফায় এই বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু সরকার কর্ণপাত না-করায় ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতিটা অন্য। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে প্রায় এক সপ্তাহ।  তবে তা আড়ে এবং বহরে বিরাট আকার নেয় শুক্রবার। যার আঁচে এ বার নড়েচড়ে বসেছেন খোদ দেশের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। নদীর প্রাণ ফেরাতে পরিবেশবিদদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। এমনকী, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোকব। বিষয়টি ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ দেখা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়ে জানান, একাধিক সমাধানের কথা ইতিমধ্যেই ভাবা হয়েছে। যদিও তা কী-কী সে বিষয়ে কোনও শব্দ ব্যয় করেননি তিনি।

দশকের পর দশক ধরে খরার সঙ্গে যুঝছে ইরান। গত এক দশকে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে। পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন, এই সময়কালে দেশের সব প্রদেশেই কমবেশি খরার প্রভাব পড়েছে। তবে ইস্পাহানের অন্যতম পরিচয়, জ়ায়ানদেহ্‌ রুদের মতো একটা গোটা নদী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মতো নজির সত্যিই বিরল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest