‘We are all here…’: In video from Kyiv, Ukraine President responds to Russian pressure

Russia-Ukraine Conflict: স্বাধীনতা বাঁচাতে লড়াই চলবে, দেশছাড়ার গুজব উড়িয়ে ভিডিও বার্তা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের

কিয়েভ দখল আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা! এর মধ্যেই শুক্রবার দুপুরের পর থেকে খোঁজ মিলছিল না ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। মনে করা হচ্ছিল, প্রাণ বাঁচাতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে কপ্টারে চেপে নিরাপদ দেশে পালাবেন হয়তো। কিন্তু না। রাত গড়াতেই ভিডিও বার্তা দিলেন জেলেনস্কি। বললেন, “কোথাও যায়নি। এখানেই আছি। দেশকে রক্ষা করছি।”

শুক্রবার রাতে কিভের প্রেসিডেন্ট ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে নিজেরই মোবাইলে তোলা ভিডিয়ো-বার্তায় জেলেনস্কির ঘোষণা, ‘‘আমরা সকলে এখানে। আমাদের সামরিক বাহিনী এখানে। সমাজের নাগরিকরা এখানে। আমরা সবাই এখানে আমাদের দেশ এবং স্বাধীনতাকে রক্ষা করছি। এ ভাবেই করতে থাকব। রক্ষকদের গৌরব, আমাদের গৌরব।’’

সামরিক এবং কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, প্রেসিডেন্সি ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে জেলেনস্কির ওই ভিডিয়ো-বার্তার মূল উদ্দেশ্য রুশ হামলার মুখো কোণঠাসা ইউক্রেন সেনার মনোবল চাঙ্গা করা। তাঁর ওই ভিডিয়ো-বার্তা ইউক্রেন সেনার টুইটারেও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী, চিফ অফ স্টাফ-সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা।

শুক্রবার রাতেও একটি ভিডিয়ো-বার্তায় জেলেনস্কি তাঁর দেশ ছাড়ার সম্ভাবনা খারিজ করে বলেছিলেন, ‘‘রাশিয়ার এক নম্বর লক্ষ্য আমিই। দু’নম্বরে রয়েছে আমার পরিবার। রাশিয়া চায় আমাকে শেষ করে আমার দেশকে রাজনৈতিক ভাবে নিঃস্ব করে দিতে। কিন্তু আমি পালাব না। এখানেই থাকব। যেখানে আমার সেনারা প্রতি মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করছে।’’

প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউক্রেন জুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। মিসাইল হানায় কেঁপে উঠছে শহর। চলছে গুলির লড়াইও। একাধিক প্রশাসনিক ভবনের দখল নিয়েছে রুশ সেনা। উড়ছে রাশিয়ার পতাকাও।  সূত্রের খবর, কৃষ্ণ সাগরে রোমানিয়ার পর জাপানের জাহাজেও হামলা করেছে রুশ বাহিনী। এদিকে রাশিয়াতে আংশিকভাবে ফেসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।