নয়াদিল্লি: লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের বেলাইন অর্থনীতিকে লাইনে ফেরাতে বেনজির পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য অর্থনীতিবিদরা সাধারণত যাতে আপত্তি জানান, সেটাই করার পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মতে দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে পড়া থেকে বাঁচাতে গেলে সাধারণ গরিব মানুষের পকেটে প্রচুর টাকা দিতে হবে। সেজন্য যদি অতিরিক্ত টাকা ছাপাতেও হয়, তাতেও পিছপা হওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা আক্রান্ত মোট ৫৭৩৪, মৃত্যু ১৬৬ জনের
করোনার আগেই ঝিমোচ্ছিল দেশের অর্থনীতি। আর লকডাউনের জেরে এখন অধিকাংশ কল-কারখানা, এমনকি চাষও বন্ধ। ফলে জোগানে টান। আবার কাজ না-থাকায় টান পড়েছে বহু মানুষের আয়ে। এই অবস্থায় বুধবার বণিকসভা ফিকি এবং আইসিসি আয়োজিত ভিডিয়ো বৈঠকে অভিজিৎ বলেন, “প্রথাগত, সাবধানি পথে হেঁটে এই পাহাড়প্রমাণ সমস্যার মোকাবিলা করা শক্ত। …চাহিদার চাকা সচল রাখতে প্রয়োজনে টাকা ছাপিয়েও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো জরুরি। তাতে মূল্যবৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দেবে কি না, সে-সব ভাবার সময় এখন নয়।… কারণ, এই অবস্থায় তা না-করলে, অর্থনীতিকে চড়া মাসুল দিতে হতে পারে বলে সম্ভাবনা থাকছে।” এস্থারের মতেও, “ভারতে যখন জন-ধন অ্যাকাউন্টের মতো পরিকাঠামো রয়েছে, তা কাজে লাগানো জরুরি।”
আরও পড়ুন: আজ শবে বরাত!পালনের আগে জেনে নিন দিনটির ইতিহাস ও গুরুত্ব
অর্থনীতির কঠিন সময়ে দরিদ্রদের হাতে টাকা দিতে তা ছাপার কথা উঠলে আপত্তি তোলেন অনেক অর্থনীতিবিদ এবং আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠান। কারণ, মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা। আবার সরকারি ব্যয় বাড়ালে রাজকোষ ঘাটতি বৃদ্ধির ভয়ে ক্রেডিট রেটিং ছাঁটাইয়ের (কোনও দেশের ঋণশোধের ক্ষমতার মূল্যায়ন) হুঁশিয়ারি দেয় মূল্যায়ন সংস্থাগুলি। কিন্তু অভিজিতের মতে, অর্থনীতিই যদি ভেঙে পড়ে, তা হলে এ নিয়ে ভেবে লাভ কী? তাঁর কথায়, “আগে যে-কোনও মূল্যে অর্থনীতিকে বাঁচানো জরুরি। বাকি সব হিসেব তার পরে।”
আরও পড়ুন: Covid-19: ভারতে এখনও সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়নি, জানাল WHO