তাজিন আহম্মেদ
আগামীকাল ২৫শে বৈশাখ। আমাদের প্রাণের কবি, প্রিয় কবি, বিশ্বজয়ী বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। তাই তো মনে পড়ে গেল ফেলে আসা স্কুল জীবনের কথা ।
বৈশাখ মাসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যাপারে একটা রচনা লেখা অত্যাবশ্যক ছিল । তবে বাংলা স্যার একটু চতুরতার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলতেন দেখি তোমরা কে কি তথ্য তুলে আনতে পার। আমরাও হন্যে হয়ে আরো পাঁচটা বই ঘেঁটে সংগ্রহ করতাম তাঁর জন্ম-মৃত্যুর তারিখ, স্থান । তাঁর সারা জীবনের কৃতিত্ব । কোন বয়সে তিনি লেখা শুরু করলেন । কখন সমাজকে গীতাঞ্জলি উপহার দিলেন । কখন শান্তিনিকেতনকে তাঁর আসল ঠিকানা বানিয়ে ফেললেন । আরো কিছু জানা কিছু অজানা তথ্য । সঙ্গে তাঁর পরিবারের খুঁটিনাটি , তাঁর পিতৃ পরিচয় । কেমন কেটে ছিল তার শৈশব, কৈশোর, বার্ধক্য ।
আরও পড়ুন: আজ রাতে ফুল ফুটেছে চাঁদে ! দেখুন বছরে শেষ ‘ফ্লাওয়ার’ সুপারমুন
তাঁর শৈশব খুঁজতে গিয়ে যে তথ্য পেতাম তা আমাদেরও শৈশব মনকে বড্ড নাড়া দিত। অবাক হয়ে পড়তাম একজন এতো বনেদি উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেও কি কঠোর অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে তাঁকে বড়ো হতে হয়েছিল। কি ভাবে দিনের পর দিন ঐ ছোট্ট একরত্তি শিশুটিকে মায়ের স্নেহ থেকে দূরে থাকতে হতো । কি ভাবে দিনের পর দিন চতুর পরিচালকের টেনে দেওয়া লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে বেড়িয়ে আসার সাহস দেখতে পারেন নি ।
তবে সেদিনের লক্ষ্মণরেখা পেরনোর সাহস না দেখালেও এই ছেলেই সমাজের লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে সমাজকে দিয়ে গেছেন নানান দৃষ্টান্ত মূলক শিক্ষা ও উপহার । যার মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ভারতমাতার মুকুটে গেঁথে দিয়ে গেছেন নোবেল পুরস্কার । যা আজো ভারতমাতা গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে গোটা বিশ্বের কাছে তাঁর আভিজাত্য তুলে ধরে। আমাদের এই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ আজো বিশ্ব সেরা । যার নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে জগতের আলোর ধারা তাকে কি খাতার দু-চারটে পাতায় লিখে শেষ করা যায়? সে সাধ্য আছে কার…