অনেক ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে অর্থাৎ পারিবারিক সূত্রে অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার ধাঁচ রয়েছে। কারও ক্ষেত্রে চুল পাকার মূলে রয়েছে পেটের সমস্যা। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। কিন্তু স্ট্রেস, ড্রায়ারের ব্যবহার, স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার, রোদে বেশি ঘোরাঘুরির কারণেও চুল পেকে যায়। এটি সহজেই আটকানো যেতে পারে।
প্রাথমিক পর্যায়ে অকালপক্কতা নিরাময়ের জন্য একটি পাতা অত্যন্ত কাজে আসে। সেটি কারি পাতা। এই কারি পাতা যদি চুলের গোড়ায় লাগানো যায়, তা পুষ্টি বৃদ্ধি করে। নতুন চুলও গজায়। চুলের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। কারি পাতা আপনার চুলকে রাখবে উজ্জ্বল ও দূষণ থেকে মুক্ত। আপনার চুলের গোড়াকে মজবুত করবে। তাই বর্ষায় বা ঘাম হলেই ঝড়ে পরার ভয় থাকবে না। মনে রাখবেন চুলে পুষ্টি দিলেই চুল পরা কমে যায়।
আরও পড়ুন: ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরছে না? ব্যবহার করে দেখুন এই ৫ পকেট ফ্রেন্ডলি ফেসিয়াল স্ক্রাবার
বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কারি পাতার হেয়ার মাস্ক।
* দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল
* ১০ থেকে ১২টি কারি পাতা
পদ্ধতি
* নারকেল তেল গরম করুন।
* অল্প আঁচ পাতাগুলি দিন।
* পাতাগুলিকে ভিজতে দিন, এরপর গ্যাস বন্ধ করে কমপক্ষে ২০ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে রেখে দিন, ঠান্ডা হয়ে যাবে।
* ঠান্তা অথচ হালকা গরম রয়েছে, সেই অবস্থায় স্কালে মাখুন এবং ধীরে ধীরে মাসাজ করুন।
* তেল মাথায় রাখার অভ্যাস থাকলে একট দিন রাখতে পারেন। অথবা আপনার নিয়মিত হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে দুই ঘন্টার মধ্যে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। অবশ্যই কন্ডিশনার অল্প ব্যবহার করুন।
* আপনার চুল ধুয়ে দেওয়ার আগে, কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই তেলও যোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: মুখের অবাঞ্ছিত লোমের হাত থেকে মুক্তি পেতে চান? ভরসা রাখুন ঘরে থাকা উপাদানে