দলের যুব মোর্চার জেলা কমিটি বাতিল করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার তিনি এই ঘোষণা করেন। জানান, অনিবার্য কারণবশত জেলার বিজেপির যুব মোর্চার পদ ও কমিটি বাতিল করা হল। যুব মোর্চার নয়া জেলা কমিটি ও সভাপতি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন বিজেপির জেলা সভাপতিরা। এই ঘটনায় রাজ্য বিজেপির অন্দরের কোন্দল ফের সামনে এল।
আরও পড়ুন : দুর্গাপুজো কিভাবে কাটাচ্ছেন সদ্য বাবা – মা হওয়া ‘হিয়ান’ জুটি?
শুক্রবার এক নির্দেশিকায় দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণ বশত, আজ থেকে পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত ‘ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা’-র সভাপতির পদ ও জেলা কমিটি বাতিল করা হল। পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জেলার সভাপতিগণ এই দায়িত্ব পালন করবেন’।
দিলীপ ঘোষের এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়েছে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করলেও জেলায় জেলায় সংঘাত চলছে বিজেপির অন্দরে। এদিনের নির্দেশিকা তারই উদাহরণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিনই সকালে শঙ্কুদেব পণ্ডা সহ বেশ কয়েকজনকে যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ও সম্পাদক নিয়োগ করেছেন দিলীপবাবু। তার পরই জেলা কমিটি অস্থায়ীভাবে বরখাস্তের ঘোষণা।তবে এবারই প্রথম নয়, মাস খানেক আগে যুব মোর্চার জেলা সভাপতিদের তালিকা প্রকাশ করে প্রত্যাহার করতে হয়েছিল সৌমিত্র খাঁকে। অভিযোগ ছিল, বেছে বেছে নিজের পছন্দের লোককে কমিটিতে রেখেছেন তিনি।
রাজ্য সভাপতির আচমকা এহেন সিদ্ধান্তের পরই এটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে দলের মধ্যে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জেলায় যুব মোর্চার কমিটি ও সভাপতিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল। কোথাও কোথাও দলীয় কর্মীরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। প্রকাশ্যে এসেছে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি। সেই অশান্তি মেটাতেই কি রাজ্য সভাপতি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? নাকি এর পিছনে আন্য কোনও কারণ রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন : লম্বা দাড়ি রেখেছেন মোদী,অথচ যোগীরাজ্যে সে কারণেই সাসপেন্ড ইন্তেজার আলি