বিজেপি নেত মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে বড় সাফল্য সিআইডির। পঞ্জাব থেকে গ্রেফতার করা হল ৩ শার্প শ্যুটারকে। জানা গেছে ধৃত ৩ জনেই বিহারের বাসিন্দা। ৩ জনকেই ট্রানজিট রিমান্ডে আনা রয়েছে রাজ্যে। ঘটনায় আগেই আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
গত ৪ অক্টোবর রাতে মণীশ শুক্ল খুন হন টিটাগড় থানার কাছেই। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাস্থলে একটি চায়ের দোকানের সামনে সঙ্গীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মণীশ। পাশেই বিটি রোডের উপর তাঁর গাড়িটি দাঁড় করানো ছিল। গাড়ির দিকে পেছন ফিরে ছিলেন মণীশ। ঠিক সেই সময়ে তাঁর গাড়ি পেরিয়ে মণীশের মুখোমুখি চলে আসে একটা মোটরবাইক। বাইকে দু’জন ছিল। মণীশ এবং তাঁর সঙ্গীদের লক্ষ্য করে বাইকের পিছনে বসা যুবক গুলি চালায়। তাতে হতচকিত হয়ে যান মণীশের সঙ্গীরা। তত ক্ষণে গাড়ির দরজার আড়ালে মাটিতে পড়ে যান মণীশ।
আরও পড়ুন: মা-কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী ছেলে, চাঞ্চল্য হাওড়ায়
ওই খুনের ঘটনায় আগেই খুররম, গুলাব শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। সূত্র মারফত সিআইডি জানতে পারে, হত্যায় জড়িত ৩ শার্প শ্যুটার গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। এরপর সেখানে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ওই ৩ জনকে। ধৃতদের মধ্যে ২ জনের নাম রোশন যাদব এবং সুদীপ কুমার রাই বলে জানা গেছে। বিহারের কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ কান্ত সিংই জেলে বসে মণীশকে খুনের ছক কষেছিল বলে দাবি সিআইডির। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই একটি কারবাইন ও ৩টি বাইকও বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার হত্যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতেও। ঘটনায় ব্যারাকপুরের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা উত্তম দাস এবং আরও এক তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মণীশের বাবা। বিজেপির তরফেও অভিযোগ করা হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই খুন করা হয়েছে মণীশকে। অন্যদিকে আবার উঠে আসে ব্যক্তিগত শত্রুতার তত্ত্বও। যদিও সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এখন দেখার ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কোন তথ্য উঠে আসে সিআইডির হাতে।
আরও পড়ুন: মুকুলকে একুশের ভোটে বড় দায়িত্ব দিয়ে দেখে নিতে চায় বিজেপি