বুধবারই গাজিয়াবাদে বিজেপি অফিসে গিয়ে গেরুয়া ঝান্ডা হাতে নিয়েছিলেন কপিল গুজ্জর। যাকে নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে তোলপাড় হয়েছিল দেশ। শাহীন বাগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল তখনি প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন কপিল। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে মিষ্টি খাইয়ে বরণ করে নেওয়ার ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু দলে যোগদানের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই কপিল গুজ্জরকে বহিষ্কার করে দিল গেরুয়া শিবির।
শাহিনবাগে বন্দুক উঁচিয়ে হামলার পরে সংবাদপত্রে শিরোনামে এসেছিলেন কপিল গুর্জর। তখন কপিলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। পরে জামিনে ছাড়া পায় দিল্লির ডাল্লুপরের এই তরুণ। তখন কপিলের সঙ্গে উঠেছিল আম আদমি পার্টির সংযোগের কথা। কিন্তু সেই দাবি ধোপে টিকতে দেননি কেজরিওয়ালরা। জানা যায়,নয়ডা থেকেই দিল্লি এসেছিল কপিল। গ্রেফতারের পর সে পুলিশকে জানায়,’আমাদের দেশ হিন্দুরাষ্ট্র। হিন্দু ছাড়া অন্য কারোর এদেশে বসবাসের অধিকার নেই’। সেদিন ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজও উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর গত মার্চে ২৫ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান কপিল। জেল থেকে বেড়তেই সেবার ঢাক-ঢোল বাজিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছিল তাঁকে। সেই সময় থেকেই শাহিনবাগের ‘বন্দুকবাজ’ নামেই পরিচিত তিনি।
আরও পড়ুন: দিল্লী মেট্রো: চলবে চালকবিহীন ট্রেন,আজ সূচনা সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন গুর্জর। উত্তর প্রদেশের গাজীপুরে ঘটা করে তাঁর গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা সংগঠক সঞ্জীব শর্মা। জানিয়েছিলেন, শতাধিক সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন গুর্জর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েই দলে যোগ দিচ্ছে তাঁরা।
गाज़ियाबाद: शाहीन बाग में CAA के खिलाफ विरोध प्रदर्शन के दौरान गोली चलाने वाले कपिल गुर्जर भाजपा में शामिल हुए। pic.twitter.com/WH0wyVRGW9
— ANI_HindiNews (@AHindinews) December 30, 2020
অনুষ্ঠানে কপিল বলেন, “আমরা বিজেপি। আমরা হিন্দুত্বকে শক্ত করছি এবং এটা আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।” তিনি এ-ও জানান, তিনি আরএসএসের অংশ তবে এর আগে তাঁর কোনও দলের সঙ্গে সংযোগ ছিল না।
তারপরই বিজেপির নিন্দায় সরব হয় ওয়াকিবহাল মহল। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল আপত্তি ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিস্থিতি বুঝে বিরোধীরাও বিজেপি-কে নিশানা করতে ছাড়েনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন নেটিজেনরা। সেই কারণেই তাঁকে শেষ পর্যন্ত দল থেকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বিজেপি নেতা সঞ্জীব শর্মা জানান, ‘বিএসপি থেকে যাঁরা দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কপিল গুজ্জর একজন। শাহিনবাগের ঘটনায় তিনি কীভাবে জড়িত ছিলেন, তা আমাদের জানা ছিল না। জানতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নয়া করোনা স্ট্রেনের আতঙ্ক, ব্রিটেনের বিমানে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ৭ দিন বাড়াল