কৃষি আইনের বিরোধিতায় মোদিকে মহুয়ার ৩ প্রশ্ন বাণ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মোদী সরকারের নিয়ম হল এরা যাদের জন্য আইন বানায় তাদের কথা ভাবার প্রয়োজন মনে করে না। সংসদে যদি বিরোধী সাংসদরা বিলটি আটকেও দিন, তাহলে সরকার অর্ডিন্যাস করে তা পাশ করিয়ে নেবে। মোদী সরকারের পরিচয়ে অর্ডিন্যান্স একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই সরকার প্রথমে বিরোধীদের কথা না শুনে আইন বানাবে, তারপর বলবে এখন তো আইন হয়ে গিয়েছে, আর তো কিছু করার নেই। আপত্তির জায়গা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে বড়োজোর ! এই সরকারটা ভুলে গিয়েছে তারা মানুষের ভোটে এসেছে। তারা স্বয়ম্ভু নয়। মোদী সরকার সম্পর্কে এমনটাই পর্যবেক্ষণ বিরোধীদের।

কেন্দ্রে নয়া কৃষি আইন ঘিরে কৃষক আন্দোলন-বিক্ষোভ অব্যাহত। এবার কেন্দ্রে এই আইন ঘিরে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনটি প্রশ্নও রাখলেন তিনি। মহুয়া মানেই ধামাকা। সংসদ হোক কিংবা সংসদের বাইরে। তাঁর প্রশ্নবাণ মোকাবিলা করার ক্ষমতা শাসক দলের নেতাদের অনেকেরই নেই।

আরও পড়ুন: বল্লভপুরের আদিবাসী পাড়ায় হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী, তরকারি রেঁধে, চা খেয়ে দিলেন টাকা

এদিন ট্যুইটবার্তায় মহুয়া প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, কারা এই কৃষি আইন চাইছে? এই আইনে কাদের পকেট ভরাবে? এটা বাতিল করলে লোকসান কাদের হবে? এমনিতে কেন্দ্রের নয়া এই কৃষি আইন ঘিরে অনেকদিন ধরেই সরব কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। একাধিকবার এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তীর্যক আক্রমণ করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পরে বিজেপির ইউটিউব চ্যানেল থেকে নারদকাণ্ডের স্টিং ফুটেড গায়েব হয়ে গেছিল বলে অভিযোগ। সেটা নিয়েও কয়েকদিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া মিত্র।

কৃষি আইন ঘিরে এখনও চলছে আন্দোলন। গতকাল দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে শুরু কৃষক ও সরকার পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলে। কিন্তু সেখানেও সমাধানসূত্র মেলেনি। তবে বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী জানান, কৃষকরা যে ৪টি প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার মধ্যে ২টিতে সহমত হওয়া গেছে। অনেকের বক্তব্য বিজেপিতে যতদিন ‘হিন্দুত্ব’ ছিল তাও একপ্রকার ছিল। কিন্তু তাতে যখন মোদীত্ব যুক্ত হল, তা আরও মারাত্মক হয়ে গেল। তখন নোটবন্দির মত পরিকল্পনাবিহীন সিদ্ধান্ত রাতারাতি কার্যকর হতে লাগল। বিদ্বেষকে হিন্দুত্ব বলে চালানোয় বাড়তি গতি এল।

দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হচ্ছেন কৃষকরা। তাদের দাবি, নয়া এই আইন প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠকও করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু তাতেও মেলেনি সমাধানাসূত্র। কৃষি আইনে বিরোধিতায় এখনও আগের অবস্থানে অনড় কৃষকরা। অন্যদিকে পিছতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকারও।

আরও পড়ুন: ‘বেশি চমকাবেন না, আমরা চমকাইতলা ঘুরে সরকারে এসেছি’, দিলীপকে মদনের মোক্ষম বাণ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest