করোনার সংক্রমণ বিস্তাররোধে সোমবার থেকে লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে কঠোর লকডাউন। লাগামহীন করোনা সংক্রমণ এবং ১০৮ জনের মৃত্যুর দিনে লকডাউনের বার্তা এলেও দু’ দিন আগেই ১৪ দিনের লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিল কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি।
চলতি লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকার পাশাপাশি গণ পরিবহণও বন্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষকেও ‘ঘরবন্দি’ থাকতে হবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হবে বলে শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান তথ্য আধিকারিক সুরথ কুমার সরকার।
গত কয়েকদিন ধরেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সর্বনাশা তাণ্ডবে বিপর্যস্ত গোটা বাংলাদেশ। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছেন ১০৮ জন। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরে এটাই একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর পরিসংখ্যান। মারণ ভাইরাস রুখতে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সাত জেলায় ইতিমধ্যে লকডাউন জারি করা হয়েছে। কিন্তু তাতে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটেনি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে অন্তত ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ ঘোষণার জন্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলের কাছে সুপারিশ করেছিল করোনা নিয়ন্ত্রণে গঠিত বিশেষ পরামর্শদাতা কমিটি।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে আমেরিকা : মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
এদিন রাতে প্রধান তথ্য আধিকারিক সুরথকুমার সরকার জানান, ‘আগামী সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারাদেশে কঠোর লকডাউন জারি থাকবে। লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে।জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। আগামিকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউনে কী-কী খোলা থাকবে, কী-কী বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি হবে।’
অন্যদিকে, সারা দেশে শাটডাউন জারির ঘোষণা শুনেই রাজধানী ঢাকা ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হাজার-হাজার মানুষ। আরিচা, শিমুলিয়া সহ প্রতিটি ফেরিঘাটেই ভিড় উপচে পড়েছে। রাজধানীকে গণ পরিবহণ বন্ধ থাকার ফলে অনেকেই কয়েক কিলোমিটার হেঁটে ফেরিঘাটে পৌঁছচ্ছেন।
আরও পড়ুন: জর্জ ফ্লয়েড হত্যায় দোষী মার্কিন পুলিশকর্মীর সাড়ে ২২ বছর জেলের সাজা