ধর্ষণ করেছে সাংসদ। এই অভিযোগে বিচারের দাবিতে বন্ধুর সঙ্গে গায়ে আগুন দিয়েছিলেন তরুণী। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ২৭ বছরের যুবক ও ২৪ বছরের তরুণী। দিন কয়েক আগে হাসপাতালে মৃত্যু হয় যুবকের। এবার যমে-মানুষে টানাটানির পর হার মানলেন তরুণীও। মঙ্গলবার ভেন্টিলেশনেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অভিযোগ, ২০১৯ সালে বারাণসীর বাড়িতে ঢেকে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ অতুল রাই। এই মামলায় জেলেও আছেন ওই সাংসদ। কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ, এই মামলা থেকে সাংসদের নাম সরাতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁর উপর জুলুম চালাচ্ছিল। মিথ্যা মামলাতেও ফাঁসিয়েছিল। তার বিচার চাইতেই সাত দিন আগে শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন তিনি ও তাঁর এক বন্ধু। গায়ে আগুন দেওয়ার আগে শেষ ফেসবুক লাইভে নির্যাতিতার দাবি, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উপর তিনি বীতশ্রদ্ধ। তাই গায়ে আগুন দিয়ে এই প্রতিবাদ।
সংবাদসংস্থার দাবি, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ওই দলিত মহিলার অভিযোগ ২০১৯ সালে তাঁকে ধর্ষণ (Rape) করে ঘোশি কেন্দ্রের বিএসপি সাংসদ অতুল রাই (Atul Rai)। সাংসদের বারাণসীর বাড়িতে ওই দলিত মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে একমাসের মধ্যে আত্মসমর্পণও করেছিলেন সাংসদ।
গাজিপুরেরর ছাত্রী ওই তরুণী গত ১৬ অগস্ট দিল্লিতে আসেন বন্ধুর সঙ্গে। একটি ফেসবুক লাইভ করে নিজেদের অভিযোগ জানানোর পর সুপ্রিম কোর্টের চার নম্বর গেটের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাঁরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার মৃত্যু হয় যুবকের। মঙ্গলবার মারা গেলেন ওই তরুণীও।
মহিলার শেষ জবানবন্দিতে দাবি, ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে সাংসদের পরিবারের কথায় ‘নাটক’ শুরু করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বারাণসী পুলিশ বারবার তাঁকে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় বলেও অভিযোগ। সংবাদসংস্থার দাবি, পালটা হিসাবে ওই দলিত (Dalit) মহিলার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে বারাণসী পুলিশের এক পদস্থ কর্তাকে।
আরও পড়ুন: PM Modi সব বিক্রি করে দিচ্ছেন, কেন্দ্রের নয়া নীতি নিয়ে তোপ রাহুল গান্ধীর