শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নয়া মোড় এলো। তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদানকারী গোয়েন্দা পুণের এক জালিয়াতি মামলায় পলাতক।
সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয় যাতে দেখা যায় কেপি গোসাভি একজন প্রাইভেট গোয়েন্দা সেলফি তুলছেন ধৃত আরিয়ান খানের সঙ্গে। মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এনসিবির অভিযানে গোয়েন্দা কেপি গোসাভি ও বিজেপি নেতার থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)। এরই মাঝে এনসিবির তরফে জানানো হয়, গোসাভি ও বিজেপি নেতা ভানুশালী মামলায় সাক্ষী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, গোসাভি এক তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করলেও অপর এক মামলায় তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে।
২০১৮ সাল থেকে পুণের এক জালিয়াতি মামলায় ‘পলাতক’ গোসাভি। পুণে পুলিশের দাবি, কেপি গোসাভি একটি জালিয়াতি মামলার একজন অভিযুক্ত। ২০১৯ সালে একটি চার্জশিট দাখিল করে পুণে পুলিশ এবং তাতে সিআরপিসির ৮২ নম্বর ধারার অধীনে জানানো হয় যে অভিযুক্ত গোসাভি পলাতক।
এই কেসটি ২০১৮ সালের মে মাসের। পুণের বাসিন্দা চিন্ময় দেশমুখ গোসাভি এবং তার কোম্পানি কেপিজি ড্রিমজ সলিউশনের বিরুদ্ধে ৩.০৯ লাখ রুপি প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। দেশমুখের অভিযোগ অনুযায়ী, গোসাভি এবং তার কোম্পানি বিদেশে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছিল।
মুম্বাই উপকূলের অদূরে ক্রুজে মাদক অভিযানে এক বিজেপি নেতা ও এক প্রাইভেট গোয়েন্দার জড়িত থাকার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্ক। অনেকে বলছেন, শাহরুখ খানের ছেলের গ্রেপ্তারের নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। এমনকি সম্প্রতি ৩০০০ হাজার কেজি হেরোইন উদ্ধারের ঘটনা আড়ালের চেষ্টা হিসেবেও দেখছে কেউ কেউ।
এ দিকে বৃহস্পতিবার আরিয়ারের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত। তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে।