নয়াদিল্লি: আমজনতার মধ্যে ছিলই, এবার দেশের রাজনৈতিক মহলে করোনা-আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছেন বলিউডের ‘বেবি ডল’ কনিকা কাপুর। ১৫ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফিরে লখনউয়ের এক পার্টিতে যান হিন্দি সংগীত শিল্পী। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ছিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং তাঁর ছেলে তথা সাংসদ দুষ্মন্ত সিং। কনিকা কাপুরের করোনা-রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর দুশ্চিন্তায় সেদিন পার্টিতে উপস্থিত আমলা, নেতারা।
আমার করোনাভাইরাস টেস্টে পজিটিভ এসেছে। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই পোস্ট করেন গায়িকা কণিকা কাপুর। তাঁর সঙ্গে লখনউতে এক নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে ও তাঁর ছেলে দুষ্মন্ত। কণিকার পোস্ট দেখার পরে তাঁরা নিজেরাই কোয়ারান্টাইনে গিয়েছেন। অভিযোগ, লখনউয়ের ওই নৈশভোজে যাওয়ার পরে দুষ্মন্ত সংসদে যত্রতত্র ঘুরে বেড়িয়েছেন। তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন জানিয়েছেন, দুষ্মন্ত তাঁর পাশে আড়াই ঘণ্টা বসেছিলেন। তাই তিনিও গিয়েছেন কোয়ারান্টাইনে।
আরও পড়ুন: করোনার থাবা বলিউডে, করোনায় আক্রান্ত ‘বেবি ডল’ গায়িকা কণিকা কাপুর
বসুন্ধরা টুইট করে বলেছেন, লখনউয়ে থাকাকালীন আমি, আমার ছেলে দুষ্মন্ত ও তার শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন এক নৈশভোজে গিয়েছিলাম। সেখানে কণিকা উপস্থিত ছিল। দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, কণিকার কোভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ এসেছে। আমরা একথা শোনার পরে নিজেরাই কোয়ারান্টাইনে চলে গিয়েছি। অন্যদিকে ডেরেক ওব্রায়েন টুইট করে বলেন, “এই সরকার আমাদের সকলকে বিপদে ফেলছে। প্রধানমন্ত্রী সকলকে বলছেন, নিজেকে আলাদা করে রাখুন, এদিকে পার্লামেন্ট চলছে। আমি একদিন দুষ্যন্তের পাশে আড়াই ঘণ্টা ধরে বসেছিলাম। সংসদের অধিবেশন আপাতত বন্ধ রাখা উচিত।”
President Kovind hosted Members of Parliament from Uttar Pradesh and Rajasthan for breakfast at Rashtrapati Bhavan this morning. pic.twitter.com/Rou6GLrSHH
— President of India (@rashtrapatibhvn) March 18, 2020
প্রসঙ্গত, একই সময়ে রাইসিনা হিসলে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। বসুন্ধরা, দুষ্মন্ত ও ডেরেকের মতো, কনিকার পার্টিতে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী জয়প্রতাপ সিংও নিজেকে ‘ঘরবন্দি’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার রাষ্ট্রপতি ভবনে এর কোনও প্রভাব পড়বে কিনা, সেদিকেই নজর।
আরও পড়ুন: করোনার কোপ: ৩১ মার্চ অবধি অফিস বন্ধ মুম্বই- পুনে-নাগপুর, দিল্লিতে বন্ধ সমস্ত শপিং মল
একসময় শোনা গিয়েছিল নৈশভোজের উদ্যোক্তা ছিলেন কণিকা নিজেই। কিন্তু ৪১ বছর বয়সী গায়িকা সেকথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি উদ্যোক্তা ছিলেন না। তবে পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আরও কয়েকজন রাজনীতিক, মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আমলা উপস্থিত ছিলেন। একটি সূত্রে খবর, পার্টিতে ছিলেন প্রায় ২০০ জন।