রচিত হল ইতিহাস ! আরবের তরুণী নুরা যোগ দিলেন নাসায়

এক সময় আরবি বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা আলোর মশাল হাতে দৌড় লাগিয়েছিলেন। তাক লাগিয়েছিলেন গোটা বিশ্বে।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

 

ইসলাম ইলমের কথা বলে। এই ইলমই আলো। এর উল্টো আঁধার। অন্ধকারকে পবিত্র কুরআনকে বলা হয়েছে ‘জুলম’। সত্যিই তো, জুলম তো অন্ধকারেরই রূপ। ইলম হল সেই জ্ঞান যা কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে। যা চেতনার পরিমন্ডলকে প্রসারিত করে। এক সময় আরবি বিজ্ঞানী ও দার্শনিকরা আলোর মশাল হাতে দৌড় লাগিয়েছিলেন। তাক লাগিয়েছিলেন গোটা বিশ্বে।  পবিত্র কুরআন বলে প্রত্যেক পুরুষ ও নারীর জন্য ইলম অর্থাৎ জ্ঞান ফরজ অর্থাৎ বাধ্যতামূলক কর্তব্য। ইসলামের কাঙিত সেই জ্ঞানের মশাল দৌড়ের প্রতিযোগী বছর সাতাশের নুরা মাতরুশি।

সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর এই তরুণী মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত একটি কর্মসূচির জন্য নির্বাচিত হলেন। আরব দুনিয়ায় এমন ঘটনা এই প্রথম। খুব শিগগির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উড়ে যাবেন নুরা। যোগ দেবেন চলতি বছরে নাসার আয়োজিত ‘অ্যাস্ট্রোনট ক্যান্ডডেট ক্লাসে’।

আরও পড়ুন : বুক লক্ষ্য করে গুলি করার নিদান সায়ন্তনের! ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক

আরবের এই প্রতিভাবান তরুণী অবশ্য এতদিন বসে ছিলেন না। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হওয়ার পর তিনি আবু ধাবির ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে যোগ দেন। সেখান থেকে এবার ‘নাসা’-র পথে পাড়ি দিতে চলেছেন তিনি।

নুরা একা নন। তাঁর পাশাপাশি আরও চারজন উদ্যমী গবেষককে এই বিশেষ কর্মসূচির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আরেক উল্লেখযোগ্য নাম হাজা আল-মনসুরি। ২০১৯ সালে এমন আরেকটি প্রকল্পে নির্বাচিত হয়ে যিনি মহাকাশ ঘুরে এসেছিলেন।

এমনিতে আরব দুনিয়া নতুন করে মহাকাশ গবেষণার জগতে পা রাখতে চলেছে। এর জন্য দেশের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহাকাশচারী কিংবা এই সংক্রান্ত কাজের সুযোগ এতদিন শুধু পুরুষদেরই দেখা মিলত। নুরার নির্বাচন সেদিক দিকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই।

চলতি বছর থেকেই মহাকাশ গবেষণায় আরব আমিরশাহীর নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ ছুঁয়ে আসে সেদেশে বানানো মহাকাশযান। ২০২৪ সালে চাঁদে অভিযানেরও নকশা বুনে রেখেছে তারা। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, তেল নয়। আগামী দিনে মহাকাশবিজ্ঞানকেই অর্থনীতির বিশেষ উৎস হিসেবে দেখতে চাইছে এই দেশ।

আরও পড়ুন : ‘বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে’, প্রকাশ্যে হুমকি দিলীপ ঘোষের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest