২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট মামলায় নয়া মোড়। নম্বর দেওয়া এবং প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কিছু ত্রুটি থেকে গিয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেইসঙ্গে ‘৬ প্রশ্নভুল’ মামলায় ত্রুটি শোধরাবে বোর্ডই । অভিযোগ সেল খুলে ত্রুটি শোধরানোর জন্য হাইকোর্টে প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
দিনকয়েক আগেই ৭৩৮ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের তথ্য যাচাই এবং ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। সেই তালিকার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন পাঁচ প্রার্থী। তাঁরা দাবি করেন, অনেক যোগ্য প্রার্থীর নাম নেই তালিকায়। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করে নেয় পর্ষদ। জানানো হয়, কয়েকটি ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। সেগুলি সংশোধন করে নেওয়া হবে। বঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়ে কী ভাবছে পর্ষদ, তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আরও পড়ুন: স্কুলের সময়সীমা নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, জানুন কবে কারা যাবে?
সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে অভিযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য পর্ষদকে একটি পোর্টাল খুলতে হবে। তাতেই প্রার্থীরা অভিযোগ জানাবেন। ১৫ দিনের মধ্যে সেই অভিযোগের খতিয়ে দেখতে হবে বলে পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
পর্ষদের তরফ থেকে আদালতে বলা হয়েছে ভুল প্রশ্ন মামলায় শীঘ্রই ত্রুটি শুধরে নেওয়া হবে। তিনদিনের মধ্যেই মামলাকারীদের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে।
আরও পড়ুন: টেট উত্তীর্ণদের জন্য সুখবর! আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পাচ্ছেন ৭৩৮ জন