আমূল বদল দেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে, স্কুলশিক্ষায় ৫ + ৩ + ৩ + ৪ ব্যবস্থা, গুরুত্বহীন দশম-দ্বাদশ বোর্ডের পরীক্ষা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

৩৪ বছর পর ব্যাপক রদবদল হল দেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। আগে শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো ছিল ১০+২ ভিত্তিতে। কিন্তু সেই কাঠামো পুরোপুরি ভেঙে নতুন শিক্ষানীতিতে করা হয়েছে ৫ + ৩ + ৩ + ৪। অর্থাৎ বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে আরও তিন বছর যোগ করা হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদল করে করা হল শিক্ষা মন্ত্রক। পাশাপাশি,  নতুন এই শিক্ষা নীতিতে সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

কী রয়েছে ওই নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায়!

কেন্দ্রের পরিকল্পনা হল, দশম ও দ্বাদশ শ্রণিতে আর নতুন করে বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে আনা হচ্ছে ৫+৩+৩+৪ পদ্ধতি। এখানে প্রাথমিককেও আনা হচ্ছে স্কুলের আওতায়। ক্লাস ওয়ান ও ক্লাস টু-কে রাখা হচ্ছে প্রি-প্রাইমারির মধ্যে। এটিকে বলা হচ্ছে ফাউন্ডেশন কোর্স।

নতুন ব্যবস্থায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্টেজ করা হচ্ছে। এটিকে বলা হচ্ছে সেকেন্ডারি স্টেজ। ফলে ওই স্টেজ চালু হলে এখনকার মতো আর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা হবে না।

আরও পড়ুন: ছাঁটাইয়ের খবর শুনে হয়রান ? ৩৮৫০ সার্কেল অফিসার নেবে SBI

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৪ বছরের মধ্যে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে কিছু পরীক্ষা নেবে বোর্ড। বাকি নেবে স্কুল।

এই চার বছরের কোর্স হবে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি। অর্থাত্ পড়ুয়ারা তাদের পছন্দের বিষয় বেছে নিতে পারবে। তবে দেখতে হবে ওই কম্বিনেশন পরবর্তিতে উচ্চশিক্ষায় যেন অসুবিধার কারণ না হয়।

এদিকে, উচ্চশিক্ষায় যারা গবেষণা করবে তাদের ৪ বছরের কোর্স হবে। এমফিল করতে হবে না। স্নাতক স্তরে প্রতি বছরের পর সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। দ্বিতীয় বছরের পর দেওয়া হবে ডিপ্লোমা। তৃতীয় ও চতুর্থ বছরের পর দেওয়া হবে স্নাতক সার্টিফিকেট।

তবে স্কুল শিক্ষায় বড় পরিবর্তন আসছে বর্তমানের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠদানের পদ্ধতিতে। এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দশম স্তর পাশ করার পর বিজ্ঞান, কলা ও বাণিজ্য এই তিন বিভাগে ভাগ হয়ে যায়। কিন্তু নতুন শিক্ষা নীতিতে এই বিভাগগুলি উঠে যাবে। উদাহরণ দিয়ে স্কুলশিক্ষা সচিব বলেছেন, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নের সঙ্গে  বেকারি শিখতে পারে, কিংবা রসায়নবিদ্যার সঙ্গে ফ্যাশন টেকনোলজি পড়তে পারে। একই সঙ্গে সব বিষয় পড়ানো হবে। তার মধ্যে এমনকি সঙ্গীত, খেলাধূলার মতো বিষয়ও থাকবে। এ ছাড়া ভোকেশনাল বিষয় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই শেখানো হবে। এ ছাড়া মূল্যায়ন বিধিতেও কিছু রদবদল হবে। রিপোর্ট কার্ডে পড়ুয়া নিজে, সহপাঠীরা এবং শিক্ষকরা মূল্যায়ন করবেন।

বর্তমানে উচ্চশিক্ষায় নিয়ন্ত্রক হিসেবে ইউজিসি, এআইসিটিই এবং ন্যাশনাল কনসার্ন ফর টিচার এডুকেশন— এই তিনটি সংস্থা রয়েছে। নয়া নীতিতে একটিই নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকবে। কলেজগুলির ক্ষেত্রে আরও স্বায়ত্তশাসন বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে নতুন নীতিতে। কলেজের গ্রেড অনুযায়ী স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে। ফিজ নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ব্যবস্থা রয়েছে নয়া ব্যবস্থায়। পুরো ব্যবস্থাপনাই চলবে ‘অনলাইন সেল্ফ ডিসক্লোজার’ ভিত্তিক।

আরও পড়ুন: LIC-তে Insurance Adviser পদে নিয়োগ হচ্ছে , নিয়ম জেনে আবেদন করুন

শিক্ষার সব খবরের আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।https://t.me/thenewsnest

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest