রাত আটটা বাজা মানেই এখন স্টার জলসা খুলে বসে পড়ে বাঙালি মা কাকিমারা। অনেক সময়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীরাও কিন্তু মোহর ও শঙ্খ স্যারকে একঝলক দেখবে বলে বসে পড়ে টিভির সামনে। শঙ্খ স্যার ওরফে প্রতীক ঘোষ এবং মোহর ওরফে সোনামণি সাহা এমন শক্তপোক্ত অভিনয় করছেন যে তারা এখন বাঙালি ঘরের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কারণ বাংলা সিরিয়ালের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত কলেজ ছাত্রী এবং প্রফেসরের প্রেম নিয়ে কোনো ধারাবাহিক দেখানো হয়নি।
সেই হিসাবে মোহরই প্রথম যেখানে শিক্ষক ও ছাত্রীর মধ্যে নরম-গরম প্রেম দেখানো হচ্ছে। বিয়ের পর শিবলিঙ্গের সামনের রোমান্স হোক বা জলভরা কাঁচের গ্লাস মাঝে রেখে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং বজায় রেখে চুমু খাওয়া, সবেতেই মোহর সিরিয়াল এখন পাল্লা দিচ্ছে স্টার জলসার বাকি সিরিয়াল গুলিকে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে এক্কেবারে ছকভাঙা সাজে ধরা দিলেন ‘রানীমা’ দিতিপ্রিয়া
মোহরে এখন কী হচ্ছে যার ফলে এই সিরিয়ালে টিআরপি চড়চড় করে আকাশে পৌঁছাচ্ছে? মোহর এবং শঙ্খ স্যারের কিছুদিন আগেই বিয়ে হয়েছে। বৌভাতের দিন বউকে নিয়ে আংটি কিনতে যাচ্ছিলেন শঙ্খ স্যার তা দেখে স্যারের প্রাক্তন প্রেমিকা শ্রেষ্ঠা হিংসায় জ্বলে গিয়ে পুলিশের কাছে শঙ্খ স্যারের নামে প্রতারণার অভিযোগ করে। সেই ঝামেলা মেটার পর মোহর কলেজে গিয়ে শ্রেষ্ঠার সঙ্গে কথা বলতে গেলে গন্ডগোল বাঁধে।
মোহর স্পষ্ট বলে দেয় যে এখন শঙ্খ স্যার তার বিবাহিত স্বামী। তাই তার কোন ক্ষতি মোহর সহ্য করবে না। অন্যদিকে প্রফেসর শ্রেষ্ঠা সেই কথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে গিয়ে মোহরের দুই গালে থাপ্পড় মারেন। যা দেখে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা।
এর পরে কী হবে? নতুন প্রমতে দেখা যাচ্ছে শঙ্খ স্যার রেগে গিয়ে ক্লাস না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে কারণে ছাত্রছাত্রীরা শ্রেষ্ঠা ম্যামের উপর ক্ষিপ্ত তবে কি ছাত্র-ছাত্রীদের চাপে শ্রেষ্ঠা ম্যাম ক্ষমা চাইবে মোহরের কাছে? জানতে গেলে চোখ রাখুন স্টার জলসার পর্দায়।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে দাদার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া আর দেদার আড্ডায় মজলেন দেব-রুক্মিণী