Samantha Ruth Prabhu reveals she has been diagnosed with an autoimmune condition called Myositis

Samantha Ruth Prabhu : মায়োসাইটিসে আক্রান্ত সামান্থা প্রভু! কী বলছেন চিকিৎসকরা

মায়োসাইটিস নামের একটি রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে। ইনস্টাগ্রামে হাতের রক্তনালিতে ওষুধের নল লাগানো ছবি প্রকাশ করে নিজেই এ কথা জানালেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু।

ছবি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সামান্থার সহকর্মী এবং অনুরাগীদের একাংশের মধ্যে। নিজের পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, “কয়েক মাস আগে আমার একটি অটো ইমিউন রোগ ধরা পড়ে। রোগটির নাম মায়োসাইটিস। ভেবেছিলাম, সুস্থ হওয়ার পরেই সে কথা জানাব। কিন্তু যা ভেবেছিলাম, সুস্থ হতে তার তুলনায় বেশি সময় লাগছে।”

ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বলছে, মায়োসাইটিস এমন একটি রোগ যাতে রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত তাঁরই সুস্থ সবল পেশিকে শত্রু ভেবে আক্রমণ করে। এই বিরল সমস্যায় পেশি দুর্বল হয়ে যায়। শুরু হয় ব্যথাও। রোগী মাঝেমধ্যেই পড়ে যেতে পারেন। একটানা দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকলে ক্লান্ত লাগে শরীর। সামান্থা জানিয়েছেন, চিকিৎসকেরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যে তিনি সেরে উঠবেন।

সামান্থা ‘অটো ইমিউন’ এর শিকার। আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ করার যে ব্যবস্থা, তাকেই ‘ইমিউনিটি’ বা ‘অনাক্রম্যতা’ বলে। বাইরে থেকে কোনও বিজাতীয় পদার্থ কিংবা জীবাণু দেহে প্রবেশ করলে সেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে। আক্রমণ করে ওই জীবাণুকে। কখনও কখনও সেই প্রক্রিয়াটিতেই গোলমাল দেখা দেয়। নিজদেহের কোনও অঙ্গকেই দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুল করে শত্রু ভেবে বসে। করে আক্রমণ। ফলে বাইরে থেকে আসা কোনও রোগজীবাণু নয়, শরীর নিজেই নিজের ক্ষতি করতে থাকে।

“‘মায়ো’ শব্দের অর্থ পেশি আর ‘আইটিস’ মানে প্রদাহ। কাজেই সোজা ভাষায় বলতে গেলে মায়োসাইটিস হল পেশির প্রদাহ। অটো ইমিউন মায়োসাইটিসে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভুলবশত দেহেরই সুস্থ সবল পেশিকে আক্রমণ করে। ফলে এই বিরল সমস্যায় পেশি দুর্বল হয়ে যায়।”

এই অসুখে প্রথম দেহের বিভিন্ন অঙ্গে শুরু হয় ব্যথা। হাত, পা, ঘাড়ের পেশিতে যন্ত্রণা হয়। তবে যে কোনও পেশিতেই বাসা বাঁধতে পারে এই রোগ। পেশি এতই দুর্বল হয়ে যায় যে, রোগী মাঝেমধ্যেই পড়ে যেতে পারেন। একটানা দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকলে ক্লান্ত লাগে শরীর। চিকিৎসক বলেন, “ধরুন, রোগী বেশ কিছুক্ষণ চেয়ারে বসে আছেন, যেই উঠতে যাবেন মনে হবে শরীর আর দিচ্ছে না।” যদি খাদ্যনালির পেশি কিংবা ডায়াফ্রাম পেশিতে এই সমস্যা হয়, তবে খাবার খেতে বা শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। ঠিক মতো চিকিৎসা না হলে, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকে মৃত্যুর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, মত চিকিৎসকের।চিকিৎসক জানান, মূলত ইমিউনো সাপ্রেসিভ ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা হয় এই রোগের।