Rahul Gandhi questions Businessman Gautam Adani’s link with Prime Minister Narendra Modi

Rahul Gandhi: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানির সম্পর্ক কী? সংসদে প্রশ্ন তুলতেই রাহুলকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আদানি ইস্যুতে তোলপাড় সংসদ। পরপর তিনদিন মুলতুবি হয়ে গিয়েছে দুই কক্ষের অধিবেশন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবারও লোকসভায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সরব হলেন এই বিতর্কে। জানতে চাইলেন, মোদী ও আদানির মধ্যে কী সম্পর্ক। কিন্তু তাঁকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। জানিয়ে দিলেন, কক্ষের ভিতরে ‘পোস্টারবাজি’ চলবে না।

মঙ্গলবার সংসদে বক্তৃতায় রাহুল বলেন, ‘‘তামিলনাড়ু থেকে কেরল, কেরল থেকে হিমাচল প্রদেশ, আমরা একটাই নাম শুনে এসেছি। সেটা হল, ‘আদানি, আদানি, আদানি’…। মানুষ আমার কাছে জানতে চাইছেন, কী ভাবে প্রতিটি ব্যবসায় আদানিরা ঢুকে যান এবং প্রতিটিতেই ওই শিল্পগোষ্ঠী সফল হয়!’’

রাহুল আবার মোদী এবং আদানির ছবি তুলে ধরে সংসদে বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় আদানিদের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু… এক জনই কাঁধে কাঁধে রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। উনি (গৌতম) মোদীর অনুগত থেকেছেন। এবং নতুন করে গুজরাতকে সাজানোর ভাবনা মোদীর মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।’’ একটু থেমে রাহুলের সংযুক্তি, ‘‘আসল জাদুর শুরু ২০১৪ সালে। যখন মোদী দিল্লি পৌঁছে গেলেন (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী হলেন)।’’

আরও পড়ুন: Gold Price Today: সোনা কেনা এখন স্বপ্নের ব্যাপার! দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন

রাহুলের বক্তব্যের মধ্যেই বিরোধিতার সুর ওঠে বিজেপির তরফে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর মন্তব্য, ‘‘শুধুমাত্র বড় অভিযোগ করলেই হয় না। সেই অভিযোগের উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে হয়।’’ রাহুল অবশ্য থামেননি। তিনি বলতে থাকেন, কী ভাবে একটি শিল্প সংস্থা কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিমানবন্দর ব্যবসার মধ্যে ঢুকে পড়ে। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম বদলে যায় এবং আদানিরা ৬টি বিমানবন্দরের বরাত পেয়ে যান। জিভিকের মতো সংস্থার হাত থেকে সবচেয়ে লাভজনক বিমানবন্দর— মুম্বই বিমানবন্দর হাইজ্যাক করে আদানিদের হাতে দেওয়া হয়েছে।’’

তাঁকে বলতে শোনা গেল, ”২০১৪ সালের আগে গৌতম আদানি বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ৬০৯ নম্বরে ছিলেন। কিন্তু মোদীজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই কী যে জাদু হল, আদানি দু’নম্বরে পৌঁছে গেলেন। আমি তো বুঝতেই পারি না, সব ব্যবসাতেই আদানি ঢুকে পড়েন কী করে? আমি সরকারের থেকে মোদী ও আদানির মধ্যে কী সম্পর্ক কী তা জানতে চাই।”

সেখানেই আবার রাহুল ছুঁয়ে যান রাফাল-বিতর্কও।  পরিস্থিতি সামাল দিতে স্পিকার ওম বিড়লা বলে ওঠেন, ”কক্ষের ভিতরে পোস্টারবাজি চলবে না।” সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা কক্ষ।

উল্লেখ্য, আদানি (Adani) ইস্যুতে লাগাতার বিক্ষোভ, প্রতিবাদে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছেন বিরোধীরা। এ বিষয়ে সবকটি বিরোধী দলের দাবিই একটি। এর তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গঠন করতে হবে কেন্দ্রকে। সেই দাবি এখনও মেনে নেয়নি সরকার। আদানি ইস্যুতে বিজেপির অবস্থান পরিষ্কার। দলীয় নেতাদের একটি বার্তায় বলা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠীকে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থা-কেন্দ্রিক। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এবং শেয়ার বাজারের ওঠানামার কোনও সম্পর্ক নেই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, আদানিদের বিরুদ্ধে কোনও কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার থাকলে তা শেয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) নেবে।

আরও পড়ুন: SC Judges: কলেজিয়ামের ‘জয়’, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে একসঙ্গে শপথ ৫ জনের

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest