জম্মুতে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের পরের দিনই জম্মুর কাছে সেনা ক্যাম্পের উপরে সন্দেহভাজন দু’টি ড্রোন উড়তে দেখা গেল৷ রবিবার রাতে এই ড্রোন উড়তে দেখে সেগুলিকে গুলি করে নামানোর চেষ্টা করেন কর্তব্যরত এক সেন্ট্রি৷
এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘২৭ এবং ২৮ জুনের মধ্যবর্তী রাতে রত্নুচক এবং কালুচক সেনা এলাকার উপরে দু’টি পৃথক ড্রোন উড়তে দেখা যায়৷ সঙ্গে সঙ্গেই হাই অ্যালার্ট জারি করে ক্যুইক রেসপন্স টিম গুলি করে ড্রোন দু’টিকে নামানো হয়৷ যদিও দু’টি ড্রোনই উড়ে চলে যায়৷ বাহিনীর সতর্ক থাকায় এবং তৎপর হওয়াতেই বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়৷ নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং তদন্ত চলছে৷’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সফরের কারণে হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি, মহিলার মৃত্যুতে ক্ষমা চাইল পুলিশ
এই ঘটনার পরই গোটা সেনা ক্যাম্পের এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু হয়৷ রবিবারই জম্মুতে বায়ু সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন থেকে বোমা ফেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ এই ঘটনায় বায়ুসেনার দুই সদস্য আহত হন৷ এই প্রথমবার জম্মু কাশ্মীরে ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটল৷ এই হামলার পিছনে জইশ ই মহম্মদ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ প্রাথমিক ভাবে অনুমান, বিস্ফোরণ ঘটাতে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে৷ আইডি-র সাহায্যে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলেও তদন্তকারীদের অনুমান৷ এক একটি আইইডি-তে দেড় কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে৷ বিস্ফোরণ স্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে৷
ইতিমধ্যেই বায়ুসেনার পাশাপাশি পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে সম্ভবত এই জঙ্গি হামলার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিতে চলেছে এনআইএ৷ তবে যেভাবে ড্রোন ব্যবহার করে হামলার ঘটনা ঘটল, তার পরে গোটা জম্মু কাশ্মীর জুড়ে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে৷
আরও পড়ুন: গুগল ও ফেসবুকের প্রতিনিধিদের ডেকে পাঠাল সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি