কলকাতা: পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালেও করোনার থাবা। সূত্রের খবর, সেখানকার ১২ জন নার্স করোনায় আক্রান্ত। তাঁদের সবাইকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। যার জেরে শিশু হাসপাতালের ওই বিল্ডিংটি আপাতত বন্ধ করে স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতালের অন্যান্যদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করা হবে। তবে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, রোগীরা সকলেই নিরাপদে রয়েছেন। এ বিষয়ে যথেষ্ট যত্নশীল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক, এই হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কথায়, “হাসপাতালের আরও অনেক সদস্যই আক্রান্ত বলে আমাদের অনুমান। ব়্যান্ডম টেস্ট করলে আরও কিছু চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর পজিটিভ ফল আসবে হয়তো। আর কয়েক দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হলে তা কেবল চিকিৎসকদের বিপদ নয়, তা রোগীদেরও বিপদ।”
আরও পড়ুন: করোনা চিনের তৈরি এমন কোনও প্রমাণ নেই আমেরিকার কাছে: WHO
গতকাল অর্থাৎ সোমবারই খবর এসেছিল, সাময়িক ভাবে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে পিয়ারলেস হাসপাতাল। সোমবার বিকেলে হাসপাতালের তরফে এক বিবৃতিতে এ কথা ঘোষণা করা হয়। কোভিড আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে হাসপাতালের অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন। ফলে হাসপাতালের অনেক কর্মী কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন, অনেকে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন, আবার অনেকে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে হাসপাতালে কাজে যোগ দিচ্ছেন না। এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আজ ফের একই খবর এল আইসিএইচ থেকে। কয়েক দিন আগেই একের পর এক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন মেডিক্যাল কলেজে। বন্ধ রাখা হয় সেই হাসপাতালও। একই কারণে স্যানিটাইজ করার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল চার্নক হাসপাতাল। কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকেও একের পর এক স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে।
আরও পড়ুন: এই প্রথম! পাকিস্তানের বিমানবাহিনীতে যোগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী পাইলটের