বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার (Manish Shukla murder) ত্যার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনায় এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের পথে হাঁটলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)। একের পর এক টুইটে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে আক্রমণ শানিয়েছেন।
কংগ্রেস সাংসদের দাবি, এই মুহূর্তে রাজ্যে যা আছে, তা ‘ডেমোক্রেসি’ নয়, ‘মমতাক্রেসি’। এছাড়া ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত স্লোগান – ‘বদলা নয়, বদল চাই’-এর কথাও মনে করিয়ে দেন কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অধীর।
(2/3) কিন্তু প্রকৃত খুনী অ্যারেস্ট হবে না। সি.আই.ডি, পুলিশ কারোর কোনো ক্ষমতা নেই আপনার কথার বাইরে গিয়ে তদন্ত করে। দিদির দালালরা বাজারে নেমে গেছেন 'হ্যা'-কে 'না' করতে। বাংলার পুলিশমন্ত্রী এ বাংলায় রাজনৈতিক খুন ও বিরোধীদের উপর আক্রমণের রাজনীতি বন্ধ হোক।
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) October 5, 2020
মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ড এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রে। বঙ্গ বিজেপি থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব – সকলেই এ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই বলে জানিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রথম থেকেই সরব কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিং, মুকুল রায়রা। রাজ্যের তরফে খুনের কিনারা করার ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন আধিকারিকরা।
এই অবস্থায় মণীশের খুন নিয়ে মমতাকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে রাজনীতির পারদ আরও খানিকটা চড়িয়ে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। তিনিও বিজেপি নেতাদের সুরেই বললেন, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। টুইটারে তিনি মমতার উদ্দেশে লেখেন, ”থানার সামনে বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় অনেক প্রশ্ন উঠছে এবং উঠবে। দিদি, আপনি চাইলে খুনি ধরা পড়বে। আপনি না চাইলে অ্যারেস্ট হয়ত কেউ হবে, কিন্তু প্রকৃত খুনি অ্যারেস্ট হবে না।”
ধারাবাহিক টুইটে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে বিরোধী মানে প্রতিপক্ষ, শত্রু নয়। তাই বাংলায় যেন রাজনৈতিক খুন বন্ধ হয়। মমতার ‘বদলা নয়, বদল চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখেই আক্রমণের ধার বাড়িয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। লিখেছেন, ”বদলা নয়, বদল চাই – বলেছিলেন, ভুলে গেলেন দিদিভাই??” অধীর চৌধুরির এহেন মন্তব্য় ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়ল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
(1/3) বাংলায় রাজনৈতিক খুন বন্ধ হোক, বিরোধী মানে প্রতিপক্ষ, বিরোধী মানে শত্রু নয়। সারা দেশে সব থেকে বেশি রাজনৈতিক খুন হয় এই বাংলায়। পুলিশের থানার সামনে বিজেপি নেতার খুন নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে এবং উঠবে। দিদি আপনি চাইলে খুনী ধরা পড়বে, আপনি না চাইলে অ্যারেস্ট হয়তো কেউ হবে
— Adhir Chowdhury (@adhirrcinc) October 5, 2020
এই মুহূর্তে কংগ্রেসের অন্যতম ভরসা করার মত নেতা অধীররঞ্জন। সংসদের ভিতরেই হোক কিংবা বাইরে, বারবার তিনি নিজের এবং কংগ্রেসের জাট চিনিয়ে দিয়েছেন। কেবল লোকসভায় তিনি বিরোধী দলনেতা নন। প্রদেশের ভারও তাঁরই কাঁধে। তাই তৃণমূল এবং বিজেপিকে তিনি সর্বদায় বুঝিয়ে দিচ্ছেন এদেশের মাটি আসলে মনেপ্রাণে কংগ্রেসকেই বিশ্বাস করে। আর কংগ্রেস বিশ্বাস করে করে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতায়। জোরকরে ইভিএম দখল করা যায়। বিদ্বেষ প্রচারে সাময়িক কিছু ফায়দা তোলা যায়। কিন্তু মানুষ তাঁর ভুল বুঝতে পারে। সে কারণেই বিজেপি এবং তৃণমূল নিয়ে মানুষের মোহভঙ্গ হচ্ছে। মনে করছেন অধীর অনুগামীরা।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভর্তি হলেন বেলভিউয়ে