রাজ্যে খোঁজ মিলল আরও ১ ভুয়ো আধিকারিকের। নিজেকে CBI আধিকারিক দাবি করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল হাওড়ার জগাছার বাসিন্দা যুবক শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রতারিত তিনি নিজেও।
শুভদীপের স্ত্রী নয়নাদেবীর অভিযোগ, বছর দেড়েক আগে সিবিআই অফিসার (Fake CBI Officer) বলে পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে বিয়ে করেন শুভদীপ। তখনও জানতেন না শুভদীপের আসল পরিচয়। কিন্তু, কিছু সময় পর শুভদীপকে কাজে যেতে আর দেখেননি নয়না। সন্দেহের শুরু তখন থেকেই। এরপরেই, শুভদীপের কাগজপত্র ঘাঁটতে শুরু করলেন নয়না। গোপনে গিয়ে বিভিন্ন সরকারি মহলে আধিকারিকদের থেকেও খোঁজখবর নিতে শুরু করলেন। ধীরে ধীরে জানলেন, শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় নামে কোনও অফিসারই নাকি নেই। প্রায় চারমাস ধরে নানা জায়গা থেকে শুভদীপের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করেন নয়না। খোঁজ নিয়ে জানেন চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন শুভদীপ। হাতিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
নয়নার কথায়, “আমি জানতাম ও সিবিআই অফিসার। সেই পরিচয় দিয়েই আমায় বিয়ে করেছিল। পরে যখন দেখলাম, বাড়িতে বসে থাকে কাজে যায় না, তখন সন্দেহ হল। ওর সমস্ত কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখা শুরু করলাম। একদিন সিজিআই কমপ্লেক্সে সেইসব কাগজও নিয়ে গেলাম। জানলাম, ওই কাগজগুলি নাকি ভুয়ো। সবটাই তৈরি করা।”
নয়নার স্বামী অভিযুক্ত শুভদীপের মা-বাবা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন শুভদীপ। পরে বিদেশে পড়তেও যান। সেখান থেকে তিনি সিবিআই অফিসার (Fake CBI Officer) হয়ে ফিরেছেন এমনটাই জানিয়েছিলেন মা-বাবাকে। তাঁরাও জানতেন ছেলে সিবিআই অফিসার। বউমার অভিযোগের ভিত্তিতেই সত্যি সামনে আসতে সে অভিযোগ শিকারও করে নেন তাঁরা।
শুভদীপের মায়ের কথায়, “আমরা এতদিন ধরেই জানি ছেলে সিবিআই অফিসার। নীলবাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরে। নয়না তো ৯লাখ টাকা নিয়েছে আমাদের থেকে। এমনকী, সমস্ত গয়না নিয়ে গিয়েছে। সব নেওয়ার পর কেন অভিযোগ করছে? আগেই করত।” প্রায় একই কথা বলেছেন শুভদীপের বাবা। যদিও, বন্দ্যোপাধ্য়ায় দম্পতির দাবি, অন্য়ায় যখন করেছে তখন ছেলে শাস্তি পাক। ঘটনার পর থেকেই যদিও ফেরার শুভদীপ। অভিযুক্তকে খুঁজছে জগাছা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিধি নিষেধ শিকেয় তুলে পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে উদ্দাম পার্টি, গ্রেফতার ৩৭, উদ্ধার মদ, গাঁজা