The news nest: বারবার ভারতের রাজনীতির সঙ্গে আগাগোড়া জড়িয়ে গিয়েছে রাম মন্দির নির্মাণ। অবশেষে গত বছর নভেম্বর মাসে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে রাম মন্দির নির্মাণে শিলমোহর পড়েছে। মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি দেওয়া হয়েছে অন্যত্র।
রাম নবমী বা অক্ষয় তৃতীয়াতে কথা থাকলেও শুরু হয়নি রাম মন্দির নির্মাণ। এবার করোনাকে সঙ্গী করেই সে কাজে নামছে ট্রাস্ট। প্রথমে শিবের আরাধনা তারপর শুরু হবে মন্দির নির্মাণের কাজ। ১০ জুন সকাল ৮ টা থেকে মহাদেব আরাধনা শুরু হবে শশাঙ্ক শেখর মন্দিরে। এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: একদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১০,০০০, স্পেনকে টপকে পাঁচ নম্বরে ভারত
লঙ্কা জেতার আগে শ্রীরাম, শিবের আরাধনা করেছিলেন ৷ সেই নিয়মেরই পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে রাম মন্দির নির্মাণের শুরুতে ৷সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০ জুন মন্দির নির্মাণের ফাউন্ডেশন তৈরির কম্পানি এল অ্যান্ড টি মন্দির নির্মানের কাজ শুরু করবে৷ ইতিমধ্যেই এলাকায় ১০ জুনের উৎসবের জন্য আয়োজন শুরু করা হয়েছে ৷ খবর অনুযায়ী, ১০ জুন সকাল ৮ টা থেকে শুরু হবে শিবপুজো ৷ কমপক্ষে ২ ঘণ্টা ধরে চলবে শিবের আরাধনা ৷ তারপরেই শুরু হবে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ ৷
এই মন্দির ছিল বিজেপির অন্যতম রাজনৈতিক ইস্যু। এক সময় আদবানি এই ইস্যুকে সারা ভারতে চাগিয়ে রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন বিজেপির রথের সারথি। এই রথে কোনক্রমে ঠাঁই করে নিয়েছিলেন মোদী। পরের কাহিনী কাউকে বলার প্রয়োজন নেই। প্রথমে লাল কৃষ্ণ আদবানিকে মার্গ দর্শক বানানো হয়েছিল, বর্তমানে তিনি নেহাতই দর্শক।
সত্যি কথা বলতে কি রামমন্দির নিয়ে বিজেপির ভিতরেও তেমন উৎসাহ নেই। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, রামমন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ তৈরী হয়েছে এর কোনও পাকাপোক্ত প্রমান নেই। রায় হয়েছিল আস্থায়। ফলে যে বিদ্বেষ বিজেপি মন্দিরকে সামনে রেখে চাগিয়ে তুলতে চেয়েছিল, তা আর তেমন জমেনি। এখন মন্দির হবে বটে , তবে তা নিয়ে সেই জোশ হারিয়ে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। মোদ্দা কথা বিজেপির একটা ডাঁসা ইস্যু খতম হয়ে গেল মোদী জমানায়।
আরও পড়ুন: এবার হিমাচল,বিস্ফোরক ঠাসা আটার ডেলায় উড়ে গেল গর্ভবতী ‘গোমাতা’র চোয়াল