করোনা আবহেও (Corona Pandemic) গোটা দেশ উত্তাল। বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন গোটা দেশের কৃষকরা। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (Economist Intelligence Unit) সমীক্ষায় বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে আরও দু’ধাপ নামল ভারত। তালিকায় ভারতের (India) নাম ৫১ থেকে নেমে ৫৩ নম্বর স্থানে চলে গিয়েছে।অভিযোগ, মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। আর তাই গণতন্ত্র সূচকে ভারতের এই পতন। যা কিনা যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে মোদি সরকারকেও।
২০০৬ সালে প্রথমবার গণতন্ত্র সূচকের রিপোর্ট তৈরি করেছিল ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। কিন্তু গত কয়েকবছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে ভারতের স্কোর। ১৬৭ দেশের মধ্যে ২০১৯ সালে ভারতের স্কোর ছিল ৬.৯। ২০২০ সালেই সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৬১। এর আগে ২০১৪ সালে কিন্তু এই সূচকে ভারতের স্কোর ছিল ৭.৯২। সেসময় ভারত ছিল ২৭ নম্বর স্থানে। কিন্তু গত ছ’বছরে ক্রমতালিকায় নামতে নামতে ৫৩ নম্বর স্থানে চলে এসেছে ভারত।
আরও পড়ুন: পোলিও টিকার বদলে খাওয়ানো হল স্যানিটাইজার, হাসপাতালে ১২জন শিশু
70% of countries covered in our Democracy Index recorded a drop in their democracy score in 2020. #Covid19 was the key driver behind the decline. Full index results can be found here: https://t.co/PdNZ65Z2mM pic.twitter.com/eMrri2ovJY
— The Economist Intelligence Unit (@TheEIU) February 3, 2021
ইআইইউয়ের রিপোর্ট অনুসারে, ১৬৭টি দেশের মধ্যে সম্পূর্ণ গণতন্ত্রিক দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে ২৩টি দেশ, ৫২টি ত্রুটিযুক্ত গণতন্ত্র, ৩৫টি দেশ মিশ্র শাসন এবং ৫৭টি দেশ স্বৈরাচারী দেশের তকমা পেয়েছে। জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও ব্রাজিলের পাশাপাশি ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে ভারতের নাম। পাশাপাশি মোদী সরকার কর্তৃক সৃষ্ট ধার্মিক বিভেদ যে অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের ভাবধারকে নষ্ট করছে, তাও বলা হয়েছে ইআইইউয়ের রিপোর্টে।
ইআইইউ সূচক অনুসারে, তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। ক্রমান্বয়ে রয়েছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা। অন্যদিকে ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে, ৬৮তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, ৭৬তম স্থানে বাংলাদেশ, ভুটান ৮৪তম এবং ১০৫-এ রয়েছে পাকিস্তান। প্রতিবেশীদের থেকে ভারতের অবস্থা ভাল হলেও অবনমনের পরিমাণ যে বাড়ছে, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন সমাজবিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: ঘৃণা ছড়ানোর জের, কঙ্গনার দু’টি টুইট ডিলিট করল টুইটার