বুধবার অর্ণব গোস্বামীকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টকে ব্যক্তিস্বাধীনতার বার্তা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু অপর ক্ষেত্রে কাজে এল না সেই বার্তা। বৃহস্পতিবারও জামিন পেলেন না ২০১৮-র জানুয়ারি থেকে জেলবন্দি তেলুগু কবি ভারভারা রাও। মহারাষ্ট্রের যে তালোজা জেল থেকে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ছাড়া পেয়েছেন অর্ণব গোস্বামী, সেই জেলেই বন্দি রয়েছেন ভারভারা। বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্ট তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় বাড়িতে তো দূর, এমনকী হাসপাতালেও যেতে পারবেন না এই বর্ষীয়ান মার্ক্সবাদী আন্দোলনকারী।
৮১ বছরের ভারভারার আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিংহ তরফে এ দিন বলেন, ‘‘২ বছর ধরে জেলবন্দি ভারভারা গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।’’ হাইকোর্ট এ দিন সরাসরি জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেনি। জানিয়েছে, দ্রুত চিকিৎসকেরা ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ভারভারার সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে জেলে গিয়ে তাঁর শারীরিক পরীক্ষাও করবেন। ১৭ নভেম্বর আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: আর্থিক প্যাকেজ ৩.০-এর ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর: জোর কর্মসংস্থান তৈরিতে, বরাদ্দ অর্থ, আবাসনে আয়করে ছাড়
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকা এবং মাওবাদী-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ভারাভারাকে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয়। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-সহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।বছরখানেক পরে ২০১৯-এ ওই মামলার চার্জশিট পেশ করে পুলিশের দাবি, সে বছরের ১ জানুয়ারি ভীমা-কোরেগাঁওতে ‘দলিত বিজয়দিবস’ অনুষ্ঠানের পরে গন্ডগোলের পিছনে ভারভারা-সহ করেক জন সমাজকর্মী জড়িত ছিলেন।
ভারভারার স্ত্রী পি হেমলতা জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। গত ৩০ অক্টোবর শীর্ষ আদালত জামিনের আবেদনের শুনানি শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্টকে। জেল প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অশীতিপর কবি দীর্ঘদিন ধরেই মূত্রথলির সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী।
আরও পড়ুন: সামান্যের জন্য বিহার হাতছাড়া মহাজোটের, এনডিএ-র সঙ্গে ভোটের ফারাক মাত্র ০.০৩ শতাংশ