নির্ভয়াকাণ্ডের ছায়া উত্তরপ্রদেশে, যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে পাঁজর ভেঙে খুন গণধর্ষিতাকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নির্ভয়াকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যোগী রাজ্যে। চলন্ত গাড়িতে এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Gangrape) ঘটনা ঘটল উত্তর প্রদেশের বদায়ু (badaun) জেলায়। তবে ধর্ষণেই সীমাবদ্ধ থাকেনি নির্যাতন, দিল্লির নির্ভয়াকাণ্ডের মতোই এক্ষেত্রেও নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয় বুকে, যারফলে ভেঙে যায় পাঁজর। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিসি গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে এক্ষেত্রেও।

হাথরস কাণ্ডের রেশ এখনও কাটেনি। এরইমধ্যে ফের একবার নির্মমতার সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh)। রবিবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার উঘৈতি থানা এলাকায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। মধ্যরাতে রাস্তার পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ধর্ষণের পর দুষ্কৃতীরা তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় বলে জানা গিয়েছে। সেই অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মহিলাকে। কিন্তু রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

গোটা ঘটনায় পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি, অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও উঘৈতি থানার স্টেশন অফিসার (এসএইচও) রবেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ ঘটনাস্থলে যাওয়ার তাগিদ পর্যন্ত দেখাননি। বরং যেখান থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়, সোমবার দুপুরে কেবলমাত্র একবার সেখানে ঢুঁ মেরে আসে পুলিশ। এমনকি মৃতার ময়নাতদন্ত নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে। রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হলেও, সোমবার বিকেলে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। একজন মহিলা-সহ ৩ চিকিৎসকের দল ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।

আরও পড়ুন: মহিলাদের উপর অপরাধের নিরিখে ফের শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ, ভাল জায়গায় মমতার বাংলা

কিন্তু মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসায় স্তম্ভিত হয়ে যান সকলে। জানা যায়, ধর্ষণের পর ওই মহিলার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই রক্তক্ষরণ আর বন্ধ করা যায়নি। তার জেরেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়। এমনকি ভারী বস্তু দিয়ে নির্যাতিতার বুকেও আঘাত করা হয়। তাতে ভেঙে যায় তাঁর পাঁজরের হাড়। নির্যাতিতার একটি পা-ও ভেঙে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার অবস্থা দেখে প্রথমে চন্দৌসিতে তাঁকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। কিন্তু পরে ওই এলাকায় নির্যাতিতাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় মহন্ত বাবা সত্যনারায়ণ, তাঁর সহযোগী বেদরাম এবং গাড়ির চালক জসপালের নাম সামনে এসেছে। পুরোহিত হিসেবে এলাকায় পরিচিত বাবা সত্যনারায়ণ। নির্যাতিতা যে মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন, তিনি সেখানকার পুরোহিত কি না, তা যদিও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে উঘৈতির এসএইচও-কে।

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হাথরস কাণ্ডে পুলিস ও প্রসাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল যোগী সরকার। সিবিআইয়ের তরফেও জোটে তিরস্কার। সেই মামলার শুনানি হওয়ার আগেই ফের একবার নারকীয় অত্যাচারের ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশ। এই ঘটনায় এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও।

আরও পড়ুন: ২৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন, ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হতে পারে বাজেট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest