Aditya L1: Isro successfully injects Aditya-L1, designed to study Sun, in halo orbit

Aditya L1: এবার সূর্য স্পর্শ ভারতের, গন্তব্যে পৌঁছে গেল ইসরোর আদিত্য-L1

চন্দ্রবিজয়ের পর আবারও বড়সড় সাফল্যের দোরগোড়ায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সৌর গবেষণার জন্য ৪ মাস আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সূর্যের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল ভারতের প্রথম সৌরযান আদিত্য এল ১। ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ১৫০০ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্যের অন্তিম কক্ষপথে প্রবেশ করল শনিবার।

শনিবার বিকেলে নির্দিষ্ট কক্ষপথে সফল ভাবে আদিত্য-এল১কে বসিয়ে দিয়েছে ইসরো। আগামী পাঁচ বছর সেখানেই থাকবে সৌরযানটি। সংগ্রহ করবে নানা তথ্য। সূর্যকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য-এল১।সৌর-অভিযানের সাফল্যের খবর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারত আরও এক মাইলফলক তৈরি করল। ভারতের প্রথম সৌর পর্যবেক্ষণকারী মহাকাশযান আদিত্য-এল১ তার গন্তব্যে পৌঁছেছে। এটি আমাদের বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রমের ফসল। ইসরোর এই অভাবনীয় সাফল্যে সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে আমিও গর্বিত। মানব সভ্যতার স্বার্থে আমরা বিজ্ঞানের এমনই আরও অনেক দুয়ার উন্মোচন করতে থাকব।’’

মহাকাশযানটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সান-আর্থ সিস্টেমের ল্যাগ্রঞ্জ পয়েন্ট (L1) এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে পৌঁছেছে। L1 বিন্দু পৃথিবী এবং সূর্যের মধ্যে মোট দূরত্বের প্রায় এক শতাংশ। শেষ স্টপে পৌঁছানোর পর মহাকাশযানটি কোনও গ্রহন ছাড়াই সূর্যকে দেখতে পাবে, এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

সূর্যের সবচেয়ে রহস্যময় স্তর ‘সোলার করোনা’ নিয়েই পর্যবেক্ষণ পাঠাবে আদিত্য এল-১। সূর্যের বহিস্তরের তাপমাত্রা প্রায় ১ কোটি কেলভিন, নিম্নস্তরের প্রায় ৬০০০ কেলভিন। সূর্যের পৃষ্ঠদেশে ও করোনার তাপমাত্রার ফারাক এবং করোনা থেকে ছিটকে আসা আগুনে রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কীভাবে প্রভাব ফেলে সেটাই খুঁজে বার করবে আদিত্য এল-১। তার জন্য এই উপগ্রহে রয়েছে সাতটি সায়েন্স পে-লোড।