রূপচর্চার ক্ষেত্রে আজকাল খুব জরুরি উপাদান হয়ে উঠেছে ঘি। আজ বলে নয়, বহুদিন ধরেই ঘিয়ের নানা উপকারিতার কথা বলা হয়েছে আয়ুর্বেদে। প্রতিদিনের ডায়েটে পরিমিত ঘিয়ের ব্যবহার স্বাস্থ্যকর তো বটেই, বিশেষ করে ত্বক আর চুলের যত্নে তা পরিহার্য! আপনার ত্বক তেলতেলে, শুষ্ক, স্বাভাবিক যাই হোক না কেন, তার আর্দ্রতা রক্ষায় নিশ্চিন্তে কাজে লাগাতে পারেন ঘি।
শুধু ত্বকের ময়শ্চার লেভেল বজায় রাখাই নয়, প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবেও ঘিয়ের খুবই সুনাম রয়েছে। মুখে সূক্ষ্ম রেখা পড়ছে? উঁকি দিচ্ছে স্মাইল লাইন? অকালে মুখে বলিরেখা বা সূক্ষ্ম রেখা পড়তে শুরু করলে দেরি না করে ঘি মাখতে শুরু করুন। ত্বকের পেলবতা ফিরে আসবে দ্রুত।
এখানে জানুন শীতকালে ত্বককে উজ্জ্বল রাখার জন্য কী করবেন।
- ঘি খুব ভালো ময়শ্চারাইজারের কাজ করে। ঘি ত্বককে হাইড্রেট ও দাগহীন রাখে। কোমল ত্বকের জন্য কাঁচা দুধ ও বেসনে ঘি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তার পর ওই মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে এটিকে ধুয়ে দিন।
আরও পড়ুন: আপনার মেকআপ ব্রাশেও থাকতে পারে ক্ষতিকারক জীবাণু! জেনে নিন স্যানিটাইজ করার পদ্ধতি…
- শীত এলেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা বাড়তেই থাকে। ঠোঁট ফাটা বন্ধ করে, কোমল রাখতেও ঘি অত্যন্ত কার্যকরী। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ঘি লাগিয়ে নিন। পরেরদিন সকালে উঠে ভালো ভাবে ধুয়ে নিন।
- ত্বকের পাশাপাশি চুলও শীতকালে সূক্ষ্ম হয়ে পড়ে। সেই সমস্যার সমাধানের জন্যও ঘি সাহায্য করতে পারে। ঘি-তে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আবার ঘি চুলের জন্য প্রাকৃতিক কন্ডিশনারেরও কাজ করে। ১ চামচ ঘি গরম করে, তা দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
- ত্বককে জীবন্ত করে তুলতে ঘি ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ঘি ব্যবহার করলে মুখে বয়সের ছাপ পড়ে না। সামান্য ঘি দিয়ে কিছুক্ষণ ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তার পর জল দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে দিন।
আরও পড়ুন: আকর্ষণীয় ঠোঁট পেতে চান? ট্রাই করুন সহজ কিছু পদ্ধতি…