সাঁতার কাটার ভান করে ৩৫০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের বোকা বানিয়েছে শুক্রাণু !

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

সিনেমা ও চলোমান ছবির দৌলতে কমবেশি সকলেই জানেন কিভাবে শুক্রাণু সাঁতার কাটে। এই সাঁতারের ভঙ্গি অনেকটা ঠিক সাপের মত। দলবেঁধে শুক্রাণু পাড়ি দেয় ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলনের জন্য। অসংখ্য শুক্রাণুর মধ্যে তাতে সফল হয় একজনই। একটি ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলনের জন্য একটি শুক্রাণু যে পথ অতিক্রম করে তা মাউন্ট এভারেস্টের দূরত্বের সমান। কেবল সাঁতার কেটে এই দীর্ঘ পথ শুক্রাণু পাড়ি দেয়।

এতদিন সকলে তেমনটাই জানত। কিন্তু এতদিন পর যা জানা গেল তাতে সকলে হতবাক। আসলে শুক্রাণু সাঁতার কাটতেই জানে না। এতদিন সে সাঁতারের ভঙ্গি করে বিজ্ঞানীদেরও বোকা বানিয়েছে। একটি ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলনের জন্য ৫০ মিলিয়নের থেকেও বেশি শুক্রাণু পাড়ি দেয়।সংখ্যাটা লন্ডন এবং নিউইয়র্কে মোট জনসংখ্যার ৬ গুন।

আরও পড়ুন : রোজগার চাইলেই মানুষকে ধর্মের নেশা ধরিয়ে দেয়! মোদী সরকারকে কটাক্ষ বক্সার বিজেন্দরের

১৬৭৭ সালে প্রথম শুক্রাণু আবিষ্কার হয়। তবে ঠিক এই শুক্রাণু থেকেই যে পূর্ণ অবয়বের মানুষ হয় তা প্রতিষ্ঠা পেতে আরও ২০০ বছর লেগে গিয়েছিল। ১৭ শতকে প্রথম আন্তোনিও ভ্যান লিউয়েনহুক মাইক্রোস্কোপকে পূর্ণতা দেন। যদিও তাঁকে এর আবিষ্কর্তা বলা যায় না। এর পথ চলা শুরু হয়েছিল গ্যালিলিও গালিলির হাত ধরে। কিন্তু তা সমাপ্ত হয়নি। ১৫৯০-১৬১০ মাঝমাঝি সময়ে নেদারল্যান্ডে মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার হয়। ১৫৯৫ সালে জাকারিস জনসন প্রথম কম্পাউন্ড মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার করেন।

মজার কথা হল এত বছর ধরে যে শুক্রাণুকে সাঁতার কাটছে বলে মনে করা হাত সে আসলে সেটা পরেই না। শুক্রাণু আসলে একদিকে নড়তে পারে। দু’দিকে নয় কিন্তু সেটা এত দ্রুত হয় যে মাইক্রোস্কোপও ধোঁকা খেয়ে গিয়েছে এত বছর ধরে। শুক্রাণু একদিকে নড়ে, আবার নিজের জায়গায় ফিরে আসে. দ্রুততার জন্য মনে হয় বুঝি দু’দিকেই নড়ছে। এই ধোঁকাটা খাচ্ছিল আধুনিক মাইক্রোস্কোপও।

থ্রি ডি মাইক্রোস্কোপ টেকনোলজি ব্যাবহার করে শুক্রাণুর এতদিনের নাটক ধরে ফেলেন ইউকে এবং মেক্সিকোর গবেষকরা। থ্রি ডি মাইক্রোস্কোপ টেকনোলজি ব্যাবহার করে শুক্রাণুর এতদিনের নাটক ধরে ফেলেন ইউকে এবং মেক্সিকোর গবেষকরা। এক্ষেত্রে গবেষকরা একটা সুপার ফাস্ট ক্যামেরা ব্যবহার করেন। আর তাতেই ধরে ফেলেন এই নাটকে চলন। থ্রি ডি মাইক্রোস্কোপ টেকনোলজি ব্যাবহার করে শুক্রাণুর এতদিনের নাটক ধরে ফেলেন ইউকে এবং মেক্সিকোর গবেষকরা। এক্ষেত্রে গবেষকরা একটা সুপার ফাস্ট ক্যামেরা ব্যবহার করেন। আর তাতেই ধরে ফেলেন এই নাটকে চলন। এই ক্যামেরা ১ সেকেন্ডে ৫৫০০০ ছবি তুলতে পারে।

শুক্রাণুর লেজের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন সেটি একদিকেই নড়তে পারে। সাপের মত দুদিকে আন্দোলিত হতে পারে না। একদিকে নড়েই সে তার যাত্রাপথ ঠিক করে। থ্রিডি মাইক্রোস্কোপ টেকনোলজি, সেই সঙ্গে নিখুঁত গণিতের মেলবন্ধন আগামীতে আর অনেকে না জানা দরজা খুলে দেবে। কমিয়ে দেবে বন্ধ্যাত্ব। শুক্রণু নিয়ে আরও ভালোভাবে কাজ করা সহজ হয়ে যাবে। সুস্থ শুক্রাণু আগেই চিনে নেওয়া সম্ভব হবে। যার ফলে প্রজনন বিজ্ঞানে একটা নতুন দিক খুলে যাবে।

আরও পড়ুন : গলছে বরফ! কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ পাইলটের, সময় চাইলেন রাহুলের

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest