রাজস্থান রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৫৪/৬ (লোমরোর ৪৭, চাহাল ৩/২৪)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৯.১ ওভারে ১৫৮/২ (বিরাট ৭২*, আর্চার ১/১৮)
৮ উইকেটে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে সমস্ত আলোচনা, সমালোচনার জবাব যেন দিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি। দলের তরুণ খেলোয়াড় দেবদূত পাড়িক্কলের সঙ্গে তাঁর দুরন্ত পার্টনারশিপ রাজস্থানের বিরুদ্ধে সহজ জয় এনে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে।
শনিবারই ছিল এ বারের আইপিএলের প্রথম দুপুরের ম্যাচ। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে রাজস্থান রয়্যালস ছয় উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৫৪। ১৯.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল আরসিবি (১৫৮-২)। পাঁচ বল বাকি থাকতে জয় এল আট উইকেটে। জয়ের নায়ক বোলিংয়ে যুজভেন্দ্র চহাল, ব্যাটে দেবদূত পাড়িক্কল ও বিরাট কোহালি।
Padikkal's pick-up shot for 6
Stand and deliver. @devdpd07 you beauty. How good was that shot for a maximum. Watch this.https://t.co/ycODoIFeNc #Dream11IPL pic.twitter.com/DWRCqHDv7b
— IndianPremierLeague (@IPL) October 3, 2020
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। কিন্তু দ্রুত আউট হয়ে যান স্মিথ (৫), সঞ্জু (৪) এবং বাটলার (২২)। উত্থাপাও ১৭ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। কিন্তু রাজস্থানের লোয়ার মিডল অর্ডার দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেন। লোমরোর করেন ৩৯ বলে ৪৭ রান। তাঁকে যোগ্যসঙ্গত দেন পরাগ (১৬), টেওটিয়া (২৪*) এবং আর্চার (১৬*)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ছ’উইকেটে ১৫৪ রানে থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস। আরসিবির হয়ে তিন উইকেট নেন চাহাল। দু’উইকেট পান উদানা।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত মজিদ বাসকার, ভরতি হাসপাতালে
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য ফিঞ্চের উইকেট হারায় আরসিবি। কিন্তু এরপরই আসরে নামে পাড়িক্কল এবং বিরাট জুটি। দু’জনে যেমন অর্ধশতরান পূর্ণ করেন, তেমনি দ্বিতীয় উইকেটে ৯৯ রানের মূল্যবান পার্টনারশিপও গড়ে তোলেন। টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই নজর কাড়া পাড়িক্কল এদিন ৪৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন।
FIFTY!
37th IPL half-century for @imVkohli ??#Dream11IPL #RCBvRR pic.twitter.com/vjLppfFmXI
— IndianPremierLeague (@IPL) October 3, 2020
এ বারের আইপিএলে প্রথম তিন ম্যাচে রান পাননি কোহালি। ফলে চাপ ছিলই। কিন্তু, এদিন মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। ধীরেসুস্থে শুরু করে গতি বাড়ালেন পরে। ৪১ বলে পৌঁছলেন পঞ্চাশে। পাড়িক্কল যখন ফিরলেন, তখন ২৫ বলে আরসিবির দরকার ছিল ৩১ রানের। এবি ডিভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট এর পর শাসন করতে লাগলেন মাঠ। নিলেন চোখজুড়নো একের পর এক শট। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে অপরাজিত থাকলেন ৭২ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও দুটো ছয়। ডিভিলিয়ার্স অপরাজিত থাকলেন ১০ বলে ১২ রানে।
দিন আরও একটি নজির গড়লেন বিরাট। প্রথম আইপিএল ক্রিকেটার হিসেবে ৫৫০০ রানের ক্লাবের প্রবেশ করলেন ভারত অধিনায়ক। শেষপর্যন্ত পাঁচ বল বাকি থাকতে আট উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল আরসিবি।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই পুজোর সাজ! পাঞ্জাবি-পায়জামাতে মহারাজকে দেখে মাতোয়ারা নেটপাড়া