ভাঙা পিচ, বল ঘুরছে, চক্রব্যুহর মতো ঘিরে ধরেছেন ভারতীয় ফিল্ডাররা, বিপক্ষে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin), রবীন্দ্র জাদেজা (Ravinder Jadeja) অক্ষর প্যাটেলদের মতো স্পিনার। সেই ত্রয়ীর বিরুদ্ধে লড়াই করে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলল নিউজিল্যান্ড। টানটান ম্যাচে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ড্র দিয়েই লাল বলের ক্রিকেটে দ্রাবিড় যুগের সূচনা করল টিম ইন্ডিয়া (Team India)।
ভারতের জয়ের জন্য পঞ্চম দিনে দরকার ছিল ৯ উইকেট। প্রথম সেশনে একটিও উইকেট নিতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় সমর্থকদের। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই টম লাথাম এবং উইলিয়াম সমারভিলের জুটি ভেঙে দেন উমেশ যাদব। রাতপ্রহরী সমেরভিলেকে ফিরিয়ে দেন তিনি। সেই সেশনে পড়ে তিনটি উইকেট। চা বিরতিতে যাওয়ার সময় ১২৫ রানে চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শেষ সেশনে দরকার ছিল ৬টি উইকেট।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘোষিত টেস্ট সিরিজের ভারতীয় দল, ছিটকে গেলেন ভারতের সুপারস্টার
কেন উইলিয়ামসনের উইকেট নেন রবীন্দ্র জাডেজা। জয়ের আশা বাড়ে ভারতের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। রবীন্দ্র জাডেজা শেষ ইনিংসে চার উইকেট নেন। অশ্বিন নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন উমেশ যাদব এবং অক্ষর পটেল।
টেস্টের শেষ দিনে ভারতীয় বোলাররা নিউজিল্যান্ডের ৯ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করলেও শেষ বেলায় কার্যত রূপকথার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রাচিন রবীন্দ্র ও আজাজ প্যাটেল। শেষ উইকেটের জুটি দু’জনে ৮.৪ ওভার অবিচ্ছেদ্য থাকেন। রাচিন রবীন্দ্র ৯১টি বল খেলে ব্যক্তিগত ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। আজাজ ২৩টি বল খেলে ২ রান করে নট-আউট থাকেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রবীন্দ্র ও আজাজ দু’জনের সঙ্গেই ভারতের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। দু’জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিউয়ি ক্রিকেটার। রাচিনের জন্ম ওয়েলিংটনে হলেও তাঁর বাবা-মা দু’জনেই ভারতীয়। রাচিনের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি বেঙ্গালুরুর সফটওয়ার সিস্টেম আর্কিটেক। তাঁর মায়ের নাম দীপা। অন্যদিকে, আজাজ প্যাটেলের জন্ম মুম্বইয়ে। তাঁর বাবা ইউনুস প্যাটেল একজন রেফ্রিজারেশন স্পেশালিস্ট এবং মায়ের নাম শেহনাজ প্যাটেল।
সুতরাং, দুই কিউয়ি তারকা যখন শেষ দিনে ব্যাট করছিলেন, তখন একঅর্থে মাঠে ১৫ জন ভারতীয় উপস্থিত ছিলেন। ১১ জন ভারতীয় ক্রিকেটার, ২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিউয়ি ক্রিকেটার এবং ২ জন ভারতীয় আম্পায়ার সেই সময় উপস্থিত ছিলেন মাঠে।
আরও পড়ুন: বাইক দুর্ঘটনায় আহত অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন