চেন্নাই ১৮৮-৭ (রায়না ৫৪, মঈন ৩৬, ওক্স ২-১৮)
দিল্লি ১৯০-৩ (ধাওয়ান ৮৫, পৃথ্বী ৭২, শার্দূল ২-৫৩)
দুশোর কাছাকাছি রান তুলেও পার পেল না চেন্নাই। পৃথ্বী শ এবং শিখর ধাওয়ানের ব্যাটিং দাপটের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই। গত আইপিএলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর চলতি আইপিএলও খুব খারাপ ভাবে শুরু করল তারা। এ দিকে গুরু ধোনির বিরুদ্ধে নেমে অধিনায়কত্বের অভিষেকটি দারুণ হল শিষ্য ঋষভ পন্থের।
চেন্নাইয়ের ব্যাটিং শুরু হতেই এ দিন ড্রেসিং রুমের পথ দেখেন দুই ওপেনার ফাফ দু’প্লসি এবং ঋতুরাজ গায়েকওয়াড়। কিন্তু মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে দুরন্ত জুটি তৈরি করে চেন্নাইয়ের হাল ধরেন রায়না। মঈন কিন্তু ব্যাট হাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেলেন। ৩৪ রান করে দেড়শোর স্ট্রাইক রেটে। মারলেন দুটো ছয়।
তবে এ দিন সব নজর একাই কেড়ে নিলেন রায়না। প্রায় দু’বছর পর আইপিএলের কামব্যাক ইনিংসে জ্বলে উঠল তাঁর ব্যাট। তাঁর ইনিংসে সাজানো ছিল চারটে ছক্কাই। দিল্লির বোলারদের কার্যত নাকানিচোবানি খাইয়ে দেন তিনি। এ ভাবেই একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতরান করে ফেলেন তিনি।
তবে দুর্ভাগ্যের রান আউট হয়ে যান রায়না। কোনো রান না করে ভক্তদের হতাশ করে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ধোনি। তবে তার পর দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন স্যাম কারান এবং রবীন্দ্র জাদেজা। দু’জনের মধ্যে সপ্তম উইকেটে ৫১ রানের জুটি তৈরি হয়। এতেই দুশোর কাছাকাছি চলে যায় চেন্নাই।
আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর ছুড়ে ফেলা আর্মব্যান্ড কত টাকায় বিক্রি হল জানলে আঁতকে উঠবেন!
বড়ো রানই তুলেছিল চেন্নাই। কিন্তু সেটা দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ এত ছোটো করে দেবেন সেটা কার্যত কল্পনা করা যায়নি। চেন্নাইয়ের বোলিং আক্রমণ শুরু হতেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন শ। স্যাম কারান এবং দীপক চাহরের ওপরে দাপিয়ে বেড়াতে শুরু করেন তিনি। কী অসাধারণ অবলীলায় চার এবং ছয়গুলো তিনি মারছিলেন, সেটা না দেখলে বিশ্বাসই করা যায় না। পিছিয়ে ছিলেন না ধাওয়ানও। এই দুই ক্রিকেটারের দাপটে প্রথম পাওয়ারপ্লে অর্থাৎ প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে ৬৫ রান তুলে ফেলে দিল্লি।
ইনিংস যত এগিয়ে যাচ্ছিল ততই দাপট বাড়ছিল ধাওয়ান আর পৃথ্বীর। নিমেষের মধ্যে একশো রান পেরিয়ে গেলেন দু’জনে। রানরেট তখনও দশের ওপরে। প্রয়োজনীয় রানের ব্যাপারটি তখন অনেক সহজ হয়ে আসছে। তবে যেই মনে হচ্ছিল দশ উইকেটেই ম্যাচটা পকেটে পুড়বে দিল্লি, তখনই আঘাত হানলেন ডোয়েন ব্রাভো, পৃথ্বী শ’কে ফিরিয়ে।
তিন নম্বরে নামা পন্থকে নিয়ে দলকে জয়ের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছিলেন ধাওয়ান। জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পরেই ধাওয়ানের পা কে উইকেটের সামনে পেয়ে যান শার্দূল ঠাকুর। আঙুল তুলনে বিন্দুমাত্র বিড়ম্বনায় পড়েননি আম্পায়ার। তবে ধাওয়ান আউট হলেও নতুন করে কোনো বিপদে পড়েনি দিল্লি। খুব সহজেই দলকে জয়ে পৌঁছে দেন পন্থ এবং শিমরন হেটমেয়ার।
আরও পড়ুন: IPL 2021: দীর্ঘদিন পর মাঠে ধোনি, লড়াই ‘শিষ্য’ পন্থের বিরুদ্ধে