জেপি নাড্ডার (JP Nadda) পর এবার ফের একবার রাজ্যে আসতে চলেছেন বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। আগামী ১৯ ও ২০ তারিখ রাজ্য সফর রয়েছে তাঁর। শহর কলকাতা (Kolkata) ছাড়াও জেলাতেও কর্মসূচি রয়েছে শাহর।
গত মাসেই রাজ্যে এসে বাংলায় বিজেপি ২০০-র বেশি আসন নিয়ে জিতবে বলে দাবি করে গিয়েছিলেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। তারপর থেকেই বঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। আর জেপি নাড্ডার সফর ঘিরে বৃহস্পতিবার রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। সেক্ষেত্রে ঠিক তার পরেই শাহর আবারও রাজ্য সফর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: সল্টলেকে অভিজাত বাড়ির ছাদে উদ্ধার নিখোঁজ যুবকের কঙ্কাল, খুনের অভিযোগে ধৃত মা ও ভাই
সেই কবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় প্রচারে এসে বলে গিয়েছিলেন, তৃণমূলের অন্তত চল্লিশ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।পূর্ব বর্ধমানে তো অভিনব পোস্টার পড়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল সাংসদকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখতে চাই। এ হেন সন্ধিক্ষণে ডিসেম্বরের ১৯ ও ২০ তারিখ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
এর আগে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অমিত শাহর হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়েছিলেন রাজারহাটের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে।
দিল্লিতে হোক বা কলকাতায় বড় সমাবেশ করে যোগদানে অমিত শাহর আপত্তি রয়েছে। কারণ, তিনি দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তাঁর মন্ত্রকই নির্দেশ দিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির কারণে কোথাও ২০০-র বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না। ফলে তাঁর হাত ধরে যোগদান হলে তা কোনও সভাঘরেই হতে পারে।
তৃণমূলের প্রথম দিনের নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন রতন। পার্থ ভৌমিক, সব্যসাচী দত্তর আগে জেলায় যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন রতনবাবু। বনগাঁ মহকুমা অঞ্চলে তৃণমূলের মজবুত নেতা বলেই তিনি পরিচিত। অনেকের মতে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বনিবনার অভাবেই দল ছাড়লেন রতনবাবু। উনিশের ভোটে বনগাঁর হেরে গিয়েছিল তৃণমূল। রতন ঘোষরা চলে গেলে দল আরও দুর্বল হতে পারে বলেই অনেকের মত।
আরও পড়ুন: স্কিনকেয়ারে রাখতে পারেন ভিটামিন সি সিরাম, বানিয়ে নিন বাড়িতেই, রইল কিছু সহজ টিপস