ফের বিজেপিতে বড়সড় রদবদল। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে কার্যত সরিয়ে নিল দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যাঁর মুকুল ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। বদলে গুরুত্ব বাড়ানো হল শিবপ্রকাশের। পশ্চিমবঙ্গে দলে অন্তর্দ্বন্দ রুখতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নিজের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে বেশি সময় দিতে বলেছে নেতৃত্ব। আর পশ্চিমবঙ্গে বেশি সময় ব্যায় করতে বলা হয়েছে শিবপ্রকাশকে।
আরও পড়ুন : মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে পঞ্জাব থেকে ধৃত ৩ শ্যুটার, আনা হল রাজ্যে
গত বুধবার দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ থেকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর পরই বিজেপিতে মুকুল রায়ের আধিপত্য বৃদ্ধি পাবে বলে দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে কৈলাসকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দূরে সরিয়ে দিলীপ শিবিরকে পালটা বার্তা দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২১ এর নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষে পশ্চিমবঙ্গে যে হাওয়া উঠেছে তা দলীয় কেন্দলে কোনও ভাবেই হারিয়ে যেতে দিতে চান না তাঁরা।
তাহলে কি এবার কৈলাশ সিদ্ধার্থ নাথ সিং হয়ে গেলেন। যিনি এক সময় স্লোগান দিয়েছিলেন ‘ভাগ মুকুল ভাগ’ মুকুল ঘাসফুল থেকে ভেগে যে পদ্মে বসবে তা তিনি বোঝেননি। একসময় তিনি প্রতিদিন বাংলার মিডিয়া দখল করে থাকতেন। এখন তিনি কোন কোন অবস্থায় আছেন সে খবর কেউ রাখে না। মুকুল সেদিনও চর্চায়। আর আজ চর্চায়।
একদিকে দিলীপ। অন্যদিকে মুকুল। একদিকে আরএসএস। অন্যদিকে তৃণমূলের ঘর ভাঙার কারিগর। বিজেপি এই মুহূর্তে কাউকেই চটাতে চাইছে না। তাহলে খামোকা রাহুলকে এমন করে হেনস্থা করার দরকারটাই বা কি ছিল। এক সময় বাংলার বিজেপির ‘পোস্টরা বয়’ তো তিনিই ছিলেন। একথা বাংলার সকলের জানেন। বিজেপি যদি মনে করে তারা রিমোর্টে বাংলার ভোট করাবে তাহলে তা ঠিক হবে না। বাংলার মাটি গোবলয়ের থেকে আলাদা। সেটা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বুঝতে হবে।
আরও পড়ুন : সৌদি আরবের নয়া নোটে ভারতের মানচিত্র থেকে উধাও কাশ্মীর! ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি