ডিসেম্বর থেকেই ‘স্বাস্থ্যসাথী’র আওতায় রাজ্যের সব পরিবার, ভোটের আগে বড় ঘোষণা মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পকে এ বার সার্বজনীন করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রকল্প শুরু হয়েছে অনেক দিন। তবে সেই প্রকল্পের সুবিধা সব পরিবার পেত না। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন ওই প্রকল্প এবার সার্বজনীন করা হল। রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল সরকারের। আরও আড়াই কোটি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। যাঁরা কোনওরকম স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ পান না তাঁরা সবাই এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার সুযোগ পাবেন। গৃহকর্ত্রীর নামে সেই কার্ড ইস্যু করবে সরকার। তবে পরিবারের সবাই সেই সুবিধার আওতায় থাকবে।

এখানে বোঝার বিষয় হল, মাথা পিছু ৫ লক্ষ টাকা বিমা নয়। পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা বিমা। তবে পরিবারের কোনও এক সদস্যের জন্য পুরো বিমার টাকা অর্থাৎ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা নেওয়া যাবে।মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, সবটাই হবে ক্যাশলেস প্রক্রিয়ায়। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও দেড় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমকে এর আওতায় এম প্যানেল করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জুন পর্যন্ত বিনে পয়সায় চাল, ব্লকে ব্লকে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’, ‘মাটি সৃষ্টি’-এর সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর

কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এতদিনে বহু পরিবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এ বার বাকি সবাই পাবেন, যাঁরা কোনওরকম স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না। তাঁর কথায়, “এই ধরুন আমার রিকশাওয়ালারা, আমার টোটোওয়ালারা, আমার ইটভাটা কর্মীরা, আমার ড্রাইভাররা… সবাই পাবেন।”

কীভাবে এই কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে?

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে। ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পেনিং হবে। সেখানে গিয়ে আবেদন করা যাবে। তার পর কার্ড যথাসময়ে পৌঁছে যাবে।

এদিনের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অঙ্গনওয়াড়ি (ICDS) কেন্দ্রের কর্মীদের জন্য পূর্বঘোষিত বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে ডিসেম্বর থেকে। অর্থাৎ নতুন বছর থেকে অতিরিক্ত ১০০০ টাকা হাতে পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা। এই ঘোষণা শুনে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তাঁরা সকলে। কারণ, সরকারি ঘোষণার পর তা কার্যকর হতে সাধারণত অনেকটাই সময় লাগে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে আমলে প্রশাসনে লাল ফিতের ফাঁস কিছুটা আলগা হয়েছে। তাই ঘোষণা থেকে বাস্তবায়নের মধ্যে সময়ের ফারাকও কমেছে।

আরও পড়ুন: বাস ভাঙচুর, রেল অবরোধ, ধর্মঘট ঘিরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest