রাখি বন্ধনে সেই ‘চা কাকু’র বাড়িতে কী উপহার পাঠালেন সাংসদ মিমি?

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আজ রাখি পূর্ণিমা। মিমির তরফে এদিন বিশেষ উপহার পৌঁছে গিয়েছে ভাইরাল চা কাকুর বাড়িতে। যাদবপুরের বাসিন্দা ভাইরাল চা কাকু মৃদুল দেবের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা, করোনা সংকটে আর্থিক সাহায্য করে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই দিনমজুরের। সেই সাহায্যের হাতটাই আরও শক্ত করলেন মিমি।

সাংসদের কাছ থেকে এই উপহার পেয়ে আহ্লাদে আটখানা মৃদুল দেব । তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি, নিজের ব্যস্ত শেডিউলের মধ্যেও তাঁকে যে এভাবে মনে রাখবেন নায়িকা। রাখির মতো দিনে ‘বোন’ মিমি চক্রবর্তীর তরফে আসবে এই উপহার, তা তাঁর কল্পনারও অতীত ছিল।

রাখির উপহারে ছিল মাস্ক, স্যানিটাইজার, মিষ্টি।মিমি বলেন, “রাখিবন্ধন এমন একটা উৎসব, যেখানে  রাখি পরানো দিয়েই শুধু ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করা যায় না। এই দিন আমার কাছে ভালবাসা আর একে অপরের পাশে থাকা, খেয়াল রাখার দিন। রাখি উৎসব সকলের।এই উৎসবকে কেন্দ্র করে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের মধ্যে  ভালবাসা, যত্ন আর মানবিকতা ছড়িয়ে দিতে চাই আমি। তাই শুধু চা কাকু নয়। আমার পরিচিত, আমার কন্সটিটিয়েন্সির অনেককেই আমি রাখির উপহার পাঠিয়েছি।”

আরও পড়ুন : করোনা কাঁটা, রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় থাকছেন না উমা ভারতীও

এইদিন শুধু মৃদুল দেবই নন যাদবপুরের বহু একালাবাসীর সঙ্গেই সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন মজবুত করতে রাখির সারপ্রাইজ গিফট পাঠিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় রাখি বন্ধন এমন একটা উৎসব যেখানে , রাখি পরানো মানে শুধু সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেওয়াই নয়, এর অর্থ হল ভালোবাসা ও আন্তরিকতা ছড়িয়ে দেওয়া।

একে অপরকে জানানো যে আমার একসঙ্গে আছি, একে অপরের পরোয়া করছি। আমার জন্য রাখির মানে এটাই যে আমরা সবাই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই যেন সবার কেয়ার করি এবং ভালোবাসা ছড়িয়েদি….আর আমি শুধু ওনাকেই উপহার পাঠায়নি এমন অনেককে পাঠিয়েছি ।

মোর্দীর ডাকে গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুতে শামিল হয়েছিল গোটা দেশ। করোনা সংক্রমনের আতঙ্কের মাঝেই জনতা কার্ফু উপেক্ষা করে শহর কলকাতায় চায়ের দোকানে ভিড় জমিয়েছিল একদল হুজুগে বাঙালি। সেই দলেই ছিলেন মৃদুল দেব। সাদামাটা জামাকাপড়, ক্লান্ত চাহনি এবং গালভর্তি হাসি নিয়ে এই মাঝবয়সী কাকুর মুখে বাঙালি শুনেছিল একটি লাইন ‘আমরা কি চা খাবো না? চা খাব না আমরা?’ তারপর থেকেই তিনি হয়ে যান ‘ভাইরাল চা কাকু’।

আরও পড়ুন : Rakhi 2020: রাশি মেনে বাঁধুন রাখী, সুখ- শান্তি ঘিরে থাকবে ভাইয়ের জীবন জুড়ে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest