এমন দৃশ্য দেখলে যে কারওর পক্ষে লোভ সামলে রাখা মুশকিল। মানে চিন্তা করা যায়? মাছের মতোই পুকুরে ভাসছে টাকা! পাঁচশো, একশো, দশ, পাঁচ টাকার নোট। সেই নোট কুড়োতেই হুড়োহুড়ি বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকে আবার নোটের বান্ডিল খুঁজতে ডুবও দিলেন বার বার। পুকুরে নোট ভাসছে খবর চাউর হতে বেশি সময় লাগেনি। কাতারে কাতারে পুকুরপাড়ে ভিড় করেন উৎসাহীরা।
আরও পড়ুন: ফের শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক, সিদ্ধান্ত কার্যকর আগামীকাল থেকেই
অবাক করা এই কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। শুধু বড়মশাগড়িয়া নয়, দূরদূরান্ত থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন পুকুর পাড়ে। গ্রামের শেখ মনসুর আলির বাড়ি পুকুরের ধারেই। শুক্রবার তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরেই গ্রামের ছেলেপিলেরা বলছিল পুকুরে স্নান করতে গেলেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, “প্রথমে বিশ্বাস করিনি। তার পর গ্রামের আরও কয়েকজন ৫০০, ২ হাজার, ১০ টাকার নোট পেয়েছে দেখলাম। এদিন তো প্রচুর লোক চলে আসে। সবাই পুকুরে ডুব দিয়ে দিয়ে গোছা গোছা টাকা তুলেছে।” খবর পেয়ে এদিন পুলিশও যায়। মনসুর আলি জানান, পুলিশের লোকজনও ডুব দিয়ে দিয়ে টাকা পেয়েছে।
এদিন দুপুরের পর থেকেই পুকুরে নোট মেলার খবর চাউর হয়ে যায়। খবর রটে যায় সোনা দানা, গাদা গাদা নোট পুকুরে জলের তলায় ডুবিয়ে রেখেছে দুষ্কৃতীরা। এসব ডাকাতদের কাজ বলেই মত প্রকাশ করেন পুকুরপাড়ে দাঁড়ানো অনেকেই। পুলিশ ওই পুকুরে লোক নামা নিষিদ্ধ করেছে। জেলা পুলিশের এই কর্তা জানান, উৎসাহী অনেকেই রাতেও পুকুরে নেমে পড়তে পারেন। তা থেকে বিপদ ঘটতে পারে। তাই কেউ যাতে না নামতে পারেন তা নিশ্চিত করতে পুকুর পাড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় চাপতে হলে আগাম সিট বুক করতে হবে অ্যাপে, জেনে নিন নয়া নিয়ম