করোনাকালে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনীয় জিনিসটাই হল মাস্ক। ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে প্রথম থেকেই মাস্ক ব্যবহার করাটা বাধ্যতামূলক ছিল। তবে ধীরে ধীরে তাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। এন৯৫ এর বদলে ত্রি-স্তরীয় সুতির মাস্ক বাজারে এসেছে কিছুদিন আগে। তার পরেই দামি থেকে কম দামি নানা ধরনের মাস্ক এসেছে, যা পরে স্বচ্ছন্দ্যে সারাদিন কাটাতে পারছেন সকলে।
কিন্তু মাস্ক যদি হিরে, জহরত খচিত হয়? আর তার দাম যদি লাখ টাকারও বেশি হয়? তখন! চমকে গেলেন? স্বাভাবিক। সম্প্রতি হিরে, মুক্তো খচিত হাতে তৈরি মাস্ক বাজারে এনে, সারা বিশ্বের মানুষকে চমকে দিল জাপান। মাস্ক ডট কমের এই নয়া সৃষ্টি রীতিমত সারা ফেলে দিয়েছে সারা দুনিয়ায়।
দুধরনের মাস্ক তাঁরা তৈরি করেছেন। একটা ০.৭ ক্যারেট হিরে, ৩০০র বেশি ক্রিস্টালের তৈরি, অন্যটা ৩৩০টি জাপানিজ অ্যাকোয়া মুক্তো দিয়ে বানানো হয়েছে। যার দাম প্রায় ৭ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। তবে ভাববেন না এই মাস্ক দোকানে শুধু সাজিয়ে রাখার জন্য। বিক্রির জন্যেই রেখেছেন তাঁরা। তবে এই মাস্ক বানানোর পিছনে তাদের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল ফ্যাশন উৎসাহীদের মন ভাল করা।
আরও পড়ুন: বিন্দাস বর-কনে! অনির্বাণ-মধুরিমার রিসেপশনে তারার হাট জমজমাট
মাস্ক ডট কমের এক কর্মচারী আজুসা কাজিতাকা বলেছেন, “প্রত্যেকেরই এখন মন খারাপ। তবে এমন মাস্কের দিকে তাকালে যে কারোর মন ভাল হয়ে যাবে। প্যানডেমিকের কারণে ফ্যাশন ইন্ড্রাস্ট্রি তো মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন ধীরে ধীরে আগের চেয়ে ভাল অবস্থায় যাতে ফিরতে পারে তার চেষ্টাই আমরা করছি। আমাদের দোকানে ২০০র বেশি আলাদা রকমের মাস্ক রয়েছে। অনেকেই কেনেন। কিন্তু এই মাস্ক লঞ্চ করার পর দোকানে ভিড় উপচে পড়েছিল। যদিও এখনও কেউ কেনেননি।”
তবে ভাববেন না, জাপানের এই মাস্কই পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মাস্ক। এর আগে নাম আছে ইজরায়েলের। ওখানকার এক স্বর্ণকার ইভেল বিশ্বের সবথেকে দামি মাস্ক তৈরি করেছেন। যা পুরোটাই ২৫০ গ্রাম ১৮ ক্যারেটের সোনার তৈরি। যার দাম ১৫ লক্ষ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ১৮ মাস সম্পর্কে থেকে সেক্স ডলকেই বিয়ে করলেন এই বডিবিল্ডার!