তৃণমূলের (TMC Clash) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের দুবরাজপুর(Dubrajpur)৷ গুলি, বোমাবাজিতে পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাড়াগ্রামে কমপক্ষে ৬জন গুরুতর জখম৷ তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিস বাহিনী৷ নতুন করে অশান্তি এড়াতে পুলিস পিকেটিং বসানো হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মুকুল মণ্ডল ও কার্যকরি সভাপতি তরুন গড়াই-এর গোষ্ঠীর মধ্যেই দ্বন্দ্ব থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। আজ দুবরাজপুর ব্লক থেকে গ্রামে সার্ভে করতে যান ব্লক আধিকারিকরা। তারপর তাঁরা মুকুল গোষ্ঠীর বুথ সভাপতি গফ্ফর খানের বাড়ির পাশে সার্ভে করছিলেন ব্লক আধিকারিকরা। তখনই তরুন গড়াই গোষ্ঠীর লোকেরা তাঁকে প্রশ্ন করতে যান তাঁদের পাড়ায় কখন সার্ভে হবে। তারপরই শুরু হয়ে যায় বচসা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় গুলি ও বোমাবাজি চলে। তরুন গড়াই গোষ্ঠীর ৬ জন গুরুতর আহত হন। তাঁদের দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘ওই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সাত জনকে আটক করা হয়েছে। গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দু’রাউন্ড গুলিও মিলেছে। দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদক বলেন, ‘‘সোশ্যাল অডিট টিম এলাকায় সার্ভে করছিল। তখন দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সরকারি কর্মীরা এর পর সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তাঁরা নিরাপদে আছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণেই আছে। পুলিশও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। আমরা পুলিশ এবং পঞ্চায়েতের মাধ্যমে খবর নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখব। সোশ্যাল অডিট টিম কী রিপোর্ট দেয় তা দেখি। তার পর বলা যাবে দুর্নীতি হয়েছিল কি না।’’
বিষয়টি নিয়ে দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘‘তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণেই ওই সংঘর্ষ। কী ভাবে বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র পেল ওরা? ওরা দুবরাজপুরে শান্তির বাতাবরণ নষ্ট করছে।’’
অনুব্রত অবশ্য বলেন, ‘‘ফুটবল খেলার মাঠ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল ঘটেছে। এই সমস্যা আজকের নয়। এর আগে ২০০৯ এবং ২০১২ সালেও হয়েছিল। এ বারও হয়েছে। আজ বিএলআরও অফিস থেকে লোকজন মাপজোক করতে গিয়েছিল। তখন গন্ডগোল হয়। দু’পক্ষই তৃণমূল। কিন্তু এটা সম্পত্তির ব্যাপার। আমাদের কিছু করার নেই। তবু দেখছি। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’