কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথ (Narayan Debnath)। গত জানুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়েছে। কথা ছিল তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে। তা হয়নি। দশ মাস পেরোলেও খেতাবই পৌঁছয়নি নারায়ণ দেবনাথের কাছে। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি তাঁর বাড়িতেই হাজির হয়েছিলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বর্ষীয়ান কার্টুনিস্টের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি রাজভবন থেকে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাসও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে পদ্মশ্রী সম্মান পেলেও নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে এখনও কেন স্মারক আসেনি, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
শুক্রবার সকালেই স্ত্রী সুদেশ ধনখড়কে সঙ্গে নিয়ে হাওড়ার শিবপুরে নারায়ণ দেবনাথের বাড়িতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ বর্ষীয়ান কার্টুনিস্টকে ফুল, উত্তরীয় সহ নানা সামগ্রী উপহার দেন রাজ্যপাল। প্রবীণ এই শিল্পীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে তাঁর আশীর্বাদও গ্রহণ করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তখনই রাজভবন থেকে অসুস্থ শিল্পীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন জগদীপ ধনখড়। পরে ট্যুইট করে বিখ্যাত এই কার্টুনিস্টের বাড়িতে যাওয়ার কথা জানান তিনি।
তিনি লেখেন, “হাঁদা ভোঁদা, বাটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টের স্রষ্টা পদ্মশ্রী শ্রী নারায়ণ দেবনাথের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করে খুব উদ্দীপিত হয়েছি, উৎসাহিত বোধ করছি ৷ ৯৬ বছর বয়সেও, তিনি খুবই সজাগ রয়েছেন ৷”
Governor West Bengal Shri Jagdeep Dhankhar will visit Padma Shri Narayan Debnath- creator of the Handa Bhonda; Batul the Great and Nonte Phonte at his residence in Howrah on December 11, 2021 at 9.30 am.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 10, 2021
২০২১-এর পদ্মসম্মান প্রাপক রাজ্যের সাতজনের মধ্যে পদ্মশ্রী প্রাপকদের মধ্যে ছিলেন হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের বাসিন্দা কিংবদন্তি কার্টুনিস্ট। ৯৮ বছর বয়সী নারায়ণবাবু অসুস্থ, শয্যাশায়ী। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, পুরস্কার নেওয়ার জন্য তাঁর পরিবারের দু’জন সদস্যকে দিল্লি আসতে হবে। নারায়ণবাবুর ছেলে তাপস দেবনাথ জানালেন, “খেতাব আনতে আমাদের পরিবারের তরফে যাওয়ার কথা ছিল আমার ছোট মেয়ে অ্যালিসিয়া ও দিদির ছেলে স্বর্ণাভর। তারপর কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় দিল্লি যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হবে অভিজ্ঞানপত্র। আর কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।”