হাওড়ার বাঁধাঘাটে এক গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগত আজ ভোররাতে। জানা গিয়েছে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে তুলোর গুদামটি। এদিকে বাঁধাঘাটের সালকিয়া টেক্সটাইল নামক তিনতলা কারখানাটি যেখানে অবস্থিত, সেই এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় আগুন নেভাতে গিয়ে নাজেহাল হন দমকলকর্মীরা। জানা গিয়েছে আগুন নেভাতে সমস্যা তৈরি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কারখানাটির। কারখানাটির মালাকি সুনীল টিবরেওয়াল। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়ার (Howrah) বাঁধাঘাটে সালকিয়া টেক্সটাইল নামে তিনতলা একটি কারখানা রয়েছে। একতলা তুলোর, দোতলায় হোসিয়ারি কারখানা। রবিবার ভোররাত ৩টের পর এই কারখানা দাউদাউ আগুনে জ্বলে ওঠে। বিপদ টের পান আশেপাশের মানুষজন। তাঁরাই দমকলে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে কারখানা বন্ধ থাকায় শাটার ভেঙে তবে দমকল কর্মীরা আগুনের উৎসে পৌঁছে তবেই তা নেভানোর কাজ শুরু করেন। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব হয়েছে। আপাতত আর তা ছড়ানোর আশঙ্কা নেই বলে জানাচ্ছেন দমকল আধিকারিক তপন ঘোষ। তাঁর কথায়, ”কারখানায় ঢোকার রাস্তা পাচ্ছিলাম না। শাটার ভেঙে ঢুকতে হয়েছে। তুলোর গুদাম হওয়ায় আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছিল। এখন তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।” কীভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে তার তদন্তে নামবে দমকল।
আরও পড়ুন: ‘পাগলামির একটা সীমা থাকে!’ জোকার, অর্বাচীন বলে সৌমিত্রকে আক্রমণ দিলীপের্
ভোররাতে এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপণের কাজ চলাকালীনই কারখানার মালিক সুনীল টিবরেওয়াল পৌঁছে যান কারখানায়। তাঁর ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেই এই পরিস্থিতি। তবে কারখানায় রাতে কেউ ছিল না। সকলে কারখানার বাইরে থাকায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। সালকিয়া টেক্সটাইলে দোতলায় হোসিয়ারি সামগ্রীর কারখানার তেমন ক্ষতি না হলেও তুলোর গুদামটি পুড়ে ছাই। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়লেন বলে জানিয়েছেন সুনীল টিবরেওয়াল।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের জেরেই আগুন লেগেছে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খুঁজে বার করতে তদন্ত হবে। গোডাউনে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্তার মেয়ের মোবাইল নম্বর দিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে