INDIAN POSTAL DEPARTMENT RELEASE SPECIAL ENVELOP IN HONOUR OF SITABHOG AND MIHIDANA

বর্ধমানের মুকুটে নয়া পালক, ডাক বিভাগের কভারে এবার সীতাভোগ – মিহিদানার ছবি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বর্ধমানের প্রসিদ্ধ সীতাভোগ, মিহিদানা। নামটুকুই যথেষ্ট। শুনলেই জিভে জল আসতে বাধ্য। শতবর্ষ প্রাচীন এই দুই মিষ্টির খ্যাতি জগৎজোড়া। এবার সেই খ্যাতি আরও বড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিল ভারতীয় ডাক বিভাগ। অনেক টানাপোড়েন শেষে বছর চারেক আগেই জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল সীতাভোগ, মহিদানা। এবার ডাক বিভাগের খামেও ফুটে উঠবে বর্ধমানের এই দুই সুস্বাদু মিষ্টি।

শুক্রবারই বর্ধমানের ডাক অফিসে উদ্বোধন করা হয় সীতাভোগ, মিহিদানা সম্বলিত বিশেষ খামের কভারটি। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের সাউথ বেঙ্গল রিজিওনের পোস্ট মাস্টার জেনারেল শশী সালিনী কুজুর, ডাক বিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের সুপাররিনটেন্ডেন্ট সৈয়দ ফ্রজ হায়দার নবি, বর্ধমানের হেড পোস্ট মাস্টার মধুসূদন রায় ও বর্ধমান সীতাভোগ অ্যান্ড মিহিদানা ট্রেডাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রমোদ সিং। প্রতিটি খামের দাম ধার্য হয়েছে ২০ টাকা করে।

আরও পড়ুন: যাত্রীবোঝাই বাসে ৩০টি তাজা বোমা! ধাওয়া করে উদ্ধার সেনা গোয়েন্দাদের

ডাক বিভাগের কর্তাদের দাবি, সীতাভোগ ও মিহিদানা বর্ধমানে অত্যন্ত বিখ্যাত মিষ্টি। সেই মিষ্টিকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ডাক বিভাগ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই বিখ্যাত জিনিসকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয় ডাক বিভাগ। এবার সীতাভোগ ও মিহিদানা সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতীয় ডাক বিভাগের কভার যাঁরা ব্যবহার করেন তাঁরা এবার জানতে পারবেন বর্ধমানে এই ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায়।

সীতাভোগ, মিহিদানার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বর্ধমানের রাজ আমলের ইতিহাস। তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদ মহাতাবকে ১৯০৪ সালে ‘রাজাধীরাজ’ উপাধি দেয় ইংরেজ সরকার। সেই উপলক্ষ্যে ১৯০৫ সালে রাজপ্রাসাদে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলার তৎকালীন বড়লাট লর্ড কার্জন। বড়লাটকে খুশি করার জন্য মহারাজ সেই সময়কার বর্ধমানের নামজাদা মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভৈরবচন্দ্র নাগকে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বিশেষ মিষ্টি প্রস্তুত করতে বরাত দেন। ভৈরবচন্দ্র নাগের হাতে তৈরি হয় মিহিদানা ও সীতাভোগ। জানা যায়, এই দুই মিষ্টির স্বাদ ও গন্ধে বড়লাট-সহ বাকি অতিথিরা মজে গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: টিকা প্রস্তুতির দৌড়ে নাম লেখাল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সও

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest