নয়াদিল্লি: ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৫ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫ এপ্রিল, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৭৭। কোভিড ১৯ সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত ভারতে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৫ জন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ভারতে কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩২১৯।
আরও পড়ুন: মোদীর ডাকে শুরু অকাল দীপাবলি, করোনা মোকাবিলায় রাত ৯টায় নিভল আলো
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ৪.১ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যদি তবলিগি জামাতের ঘটনা না হত, তাহলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লাগত মোটামুটি ৭.৪ দিন।’
ভারতের ২৭৪টি জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। তবে তিনি জানিয়েছেন, এটা নিয়ে সন্তোষের এখনই কারণ নেই। বরং যে সব জেলায় সংক্রমণ এখনও ছড়ায়নি সেখানকার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সমান সতর্ক থাকতে বলেছেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।
রবিবার সকালে দেশের সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন ক্যাবিনেট সচিব। কী কী ব্যাপারে সতর্কতা নিতে হবে। কোথায় প্রস্তুতি কেমন ইত্যাদি নিয়ে ওই বৈঠকে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। দেশে মোট জেলা রয়েছে ৭৩৬টি। তার মধ্যে ২৭৪ টি জেলায় সংক্রমণ ছড়ানোর অর্থ হল, ৪৬২ টি জেলায় এখনও কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঘটেনি।
আরও পড়ুন: মোমবাতি জ্বালানোর আবেদন বয়কটের ডাক! উড়ে গেল অপর্ণা সেনের ফেসবুক পোস্ট
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা জানিয়েছেন, এটা অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু সেই সঙ্গে এও মনে রাখতে হবে যে যেখানে সংক্রমণ এখনও ছড়ায়নি সেখানকার মানুষকে আরও সচেতন থাকতে হবে। সোশাল ডিস্টেন্সিং তথা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। লক ডাউনের আর দশ দিনও বাকি নেই। এ কদিন বাড়ি থেকে না বেরনোর সংযম দেখাতে হবে। তা হলে সেই সব এলাকায় সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি আরও কমে যাবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আমজনতাকে সচেতন হওয়ার আর্জি জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেজন্য প্রকাশ্যে থুতু ফেলা ও তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবন এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারী থেকে বিপদের আশঙ্কা বৃদ্ধির জেরে অ্যাডভাইজারি জারি করে দেশবাসীকে এই পরিস্থিতিতে ধূমপান, প্রকাশ্যে থুতু ফেলা ও তামাকজাতীয় দ্রব্য সেবন এড়িয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। ‘
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দেশেও এবার র্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট চালু হচ্ছে। তবে সর্বত্র নয়, শুধুমাত্র হটস্পটগুলিতেই আপাতত র্যাপিড টেস্ট হবে। এ নিয়ে মন্ত্রকের যুগ্মসচিব বলেন, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতার জন্য হটস্পট, উদ্ধারকার্যের কেন্দ্র ও বড় জমায়েতের এলাকায় র্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট করা হবে।’
আরও পড়ুন: মোদীকে সমর্থন বার্তা ঋতুপর্ণার, আশ্রয়হীনরা মোম জ্বালানোর বিলাসিতা দেখাবে কি? প্রশ্ন ঋদ্ধির