এবার সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চলেছেন রিয়া চক্রবর্তী। তদন্তকারী সংস্থা এবং সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা বলেছে সুশান্তের পরিবার অভিযোগ সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্তর, খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে জানিয়েছেন,’ প্রেসক্রিপশন এবং দুই দিদির সঙ্গে সুশান্তের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে স্পষ্ট প্রয়াত অভিনেতার পরিবার তাঁর মানিসক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সবকিছু জানত’।
তিনি যোগ করেন, ‘ওঁরা প্রেসক্রিপশন এবং মেডিসিনের নাম আদানপ্রদান করছিল এবং আদালত এবং ইডির সামনে মিথ্যা বলেছে। তাছাড়া সেই কনসালটেশন সম্পূর্ন বেআইনি, আর যদি কোনও অনলাইন কনসালটেশন হয়েও থাকে তাহলেও চিকিত্সক এমন কোনও রোগীকেই প্রেসক্রিপশন দিয়ে থাকেন যাঁর মেডিকাল হিস্ট্রি তিনি জানেন। রিয়া চক্রবর্তী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবেন সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে,দরকার পড়লে মামলাও দায়ের করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের কাজে লাগুক, সংসদীয় কার্যালয়কে আইসোলেশন সেন্টার করে দিলেন দেব
গত দু-দিনে সামনে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, একটি সুশান্তের সঙ্গে তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের এবং অন্যটি শ্রুতি মোদী এবং সুশান্তের সবচেয়ে বড়দিদি নীতু সিংয়ের। শ্রুতির কাছে গত বছর নভেম্বরে সুশান্তের মেডিকাল প্রেসক্রিপশন চেয়ে পাঠিয়েছিলেন, এবং সেটি পাঠিয়েছিলেন শ্রুতি। অন্যদিকে রবিবার সুশান্তের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে এসেছে, যেখানে প্রিয়াঙ্কা সুশান্তকে দিল্লির এক চিকিত্সকের প্রেসক্রিপশন পাঠিয়েছিলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বেশকিছু ওষুধের নাম উল্লেখ রয়েছে, যাতে মুম্বই থেকে সেগুলো কিনতে পারেন সুশান্ত।
সুশান্তের মৃত্যু মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীকে ইতিমধ্যেই চারবার জেরা করেছে সিবিআই। প্রায় ছ দিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রিয়ার ভাই শৌভিককে। আজ প্রথমবার সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে রিয়ার বাবা-মা। সিবিআই ছাড়াও এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের দিকটি খতিয়ে দেখছে ইডি, অন্যদিকে রিয়ার সঙ্গে মাদকচক্রের যোগের হদিশ মেলায় তদন্তে নেমেছে এনসিবিও। এই সবেরই মধ্যে মঙ্গলবার জানা গেল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত নালিশ দায়ের করেছেন রিয়া।
মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, রিয়া যেখানে থাকেন সেই কমপ্লেক্সের ভিতরে রাতদিন মিডিয়ার ভিড় তাঁর এবং পরিবারের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলছে। অভিনেত্রী পুলিশকে তাই অনুরোধ করেছেন যাতে মিডিয়াকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এভাবে তারা তাঁর চলা ফেরার উপর নজরদারি করে সাংবিধানিক অধিকার নষ্ট করতে পারে না।
আরও পড়ুন: মানবিক মিমি! সাংসদের চেষ্টায় পরিবারের কাছে ফিরলেন রাণাঘাটের নিঁখোজ বৃদ্ধ