মানুষের মত পশুদের মধ্যেও থাকে অনুভূতি। এর আগেও বলিউড-টলিউড কিংবা হলিউডের একাধিক সিনেমায় হাতি, ঘোড়া কিংবা অন্যান্য পশুদের সঙ্গে মানুষের সুন্দর সম্পর্কের গল্প দেখেছেন। কিন্তু সে তো সিনেমা, এখানে সব বিষয়ই একটু বাড়িয়ে বলা হয় মানুষকে আনন্দ দিতে। অনেকটা ওই তারিণীখুড়োর গল্পের স্বার্থে রঙ চড়ানোর মত আর কি? কিন্তু সেরকম একটি সিনেমার দৃশ্য যদি ঘটে যায় বাস্তবে, অবাক হতেই হয়। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এল এমনই এক আবেগঘন ভিডিও।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মারা গিয়েছেন মাহুত৷ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে বাড়ি পর্যন্ত চলে এলো তার প্রিয় হাতিটি। শুঁড় দিয়ে স্পর্শ করার পর চুপ করে সরে দাঁড়ালো একটু দূরে। কেরালার কোট্টায়ামের এই আবেগঘন দৃশ্য দেখে চোখে জল এসে গিয়েছিলো সকলেরই।
আরও পড়ুন : OMG! রোগীর পেটের ভিতর সোনার খনি! দেখেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকদের
৬০ বছর বয়সী দামোদরন বংশ পরম্পরায় মাহুত। গত ২৫ বছর ধরে তাঁর রোজের সঙ্গী ২৫ বছর বয়সী পলট্টু ব্রহ্মদাতন। কেরলের কোট্টায়ামে তাঁদের বাস। মন্দিরের পুজো পার্বন থেকে হাতির রেস, সবেতেই সমান জনপ্রিয় ছিল দামোদরণ-ব্রহ্মদাঁতন জুটি। বহুদিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের বৃহস্পতিবার চলে যান দামোদরণ। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল, ‘একবার পলট্টুকে নিয়ে আসবে কেউ? ওকে দেখতে মন চায়।’
বৃহস্পতিবার দামোদরণের শেষ ইচ্ছা মতো তাঁ কাছে আনা হয় তাঁর প্রিয় বন্ধুকে। সকলকে অবাক করে দিয়ে তাঁকে শেষবারের মতো শুঁড় দিয়ে ছোঁয় ব্রহ্মদাঁতন। তারপর দামোদরণের শেখানো ভঙ্গিতেই শুঁড় উঁচিয়ে প্রণাম জানায় তার মালিককে। তারপর ধীরে ধীরে সেখান থেকে সরে যায় সে।ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই হাতি-মাহুতের সম্পর্ক দেখে আবেগপ্রবণ। আবার অনেকে জানিয়েছেন, এর থেকেই প্রমাণ হয় যে কতটা সামাজিক ও অনুভুতিপূর্ণ হতে পারে একটি হাতি।
আরও পড়ুন : ‘মায়ের দুধ’ এবার তৈরি হবে ল্যাবে ! মাতৃদুগ্ধের বিকল্প এই দুধ বাজারে আসবে কবে?