2001 সালের 11 সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (United States of America) জঙ্গি হামলায় ভেঙে পড়েছিল বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (World Trade Centre) দু’টি টাওয়ার ৷ সেই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের (Osama bin Laden) ৷ কিন্তু তালিবানের (Taliban) দাবি, ওই ঘটনায় লাদেন যে যুক্ত ছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই ৷
বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ৷ সেই সাক্ষাৎকারে তিনি এই দাবি করেছেন ৷ পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন তাকে তন্নতন্ন করে খুঁজছিল, সেই সময় আফগানিস্তানেই (Afghanistan) লাদেন ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন ৷ একই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, এবার আর আফগানিস্তানের মাটিকে কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে আফগানিস্তানে দীর্ঘ সময় তালিবানের আশ্রয়ে ছিল লাদেন ৷ 9/11 হামলার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি (US President) ছিলেন জর্জ বুশ (Goerge w. Bush) ৷ তিনি লাদেনকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তালিবানের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু তালিবানের তরফে সেই দাবি মানা হয়নি ৷
আরও পড়ুন : সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়াদিল্লিতে তলব করল ইডি, জারি নোটিশ
তার পরই মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে হামলা চালাতে শুরু করে ৷ তাদের পক্ষ নিয়েছিল নর্দান অ্যালায়েন্স ৷ তার জেরেই আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনের অবসান হয় ৷ তার পর থেকে মার্কিন সেনা (US Army) ও ন্যাটোর (NATO) তত্ত্বাবধানে এবং অন্যান্য দেশের সহায়তায় গণতান্ত্রিক আফগানিস্তানের গঠন শুরু হয় ৷ উন্নয়নের কাজ হতে থাকে ৷ এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই 2011 সালের মার্কিন নেভি সিল পাকিস্তানের (Pakistan) অ্যাবোটাবাদে লাদেনের গোপন ডেরায় হামলা চালায় ৷ তাকে হত্যা করে ৷
কিন্তু 20 বছর আফগানিস্তানে থাকার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিল, তখন তারা তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনাও করে ৷ তালিবানের তরফে আল কায়দার সঙ্গে সমস্ত সংশ্রব ত্যাগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ৷
তবে প্রতিশ্রুতিই সার ৷ মার্কিন সেনা সরতেই আফগানিস্তানের দখল নিয়ে নিয়েছে তালিবান ৷ সেখানে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ৷ বিভিন্ন দেশের নাগরিককে সরিয়ে আনতে এয়ার লিফট করতে হচ্ছে ৷ আফগানিস্তান থেকে পালাতে চাইছেন সেখানকার নাগরিকরাও ৷
আরও পড়ুন : টোকিও প্যারাঅলিম্পিকে টেবল টেনিস ফাইনালে ভাবিনা,সোনা জয়ের হাতছানি