উত্তরাখণ্ড রাজ্যে রয়েছে প্রায় ১৪০টির কাছাকাছি হিন্দু দেব-দেবীর মন্দির রয়েছে। দেবতার বাস হওয়ায় উত্তরাখণ্ডকে দেবভূমিও বলা হয়ে থাকে। সেই ১৪০টির মন্দিরের মধ্যেই রয়েছে নারায়ণকোটি মন্দির। অন্যান্য মন্দির গুলির মত এখানেও রয়েছে কিছু মহাভারতের গল্প।
এই মন্দিরের পিছনে রয়েছে মহাভারতেরই একটি ঘটনা। পঞ্চ পাণ্ডব মহাদেব শিবের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা শিবের দেখা পাননি। সেই সময় এই নারায়ণকোটি মন্দিরের স্থানে শ্রী কৃষ্ণ তাঁর এক কোটি রূপ পঞ্চ পাণ্ডবদের সামনে দেখিয়েছিল। সেখান থেকেই এই মন্দিরের নাম নারায়ণকোটি হয়।
উত্তরাখণ্ড রাজ্যের গুপ্তকাশী নামক শহর অঞ্চল থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মন্দির। গাড়োয়াল হিমালয়ের রুদপ্রয়াগ এবং গৌরীকুন্ড যাওয়ার পথে পড়ে এই মন্দির। এই নারায়ণকোটি মন্দির হল ভারতের এমন একটি মাত্র স্থান যেখানে মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, সূর্য, চাঁদ, রাহু এবং কেতুর সমস্ত নয়টি গ্রহের মন্দির উপস্থিত রয়েছে।
এই নয়টি গ্রহের মন্দির গ্রহের প্রতীক হিসাবে নারায়ণকোটি মন্দির অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছে। নয়টি গ্রহেরই নাম প্রতিটি দেওয়ালে অক্ষরে খোদাই করা আছে। ভক্তরা এখানে শান্তির জন্য গ্রহ পূজা ও উপবাসের করতে আসেন। এছাড়াও এই মন্দির অঞ্চলে রয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণ, বীরভদ্র এবং সত্যনারায়ণ ভগবানের মন্দির। এই মন্দির অঞ্চলে রয়েছে একটি পাথরের ট্যাঙ্ক। এটাকে বলা হয় বীরভদ্র কুণ্ড বা ব্রহ্মকুণ্ড।
এই কুণ্ডে প্রবাহিত হয় গঙ্গা ও যমুনা। কেদারনাথের যাত্রা পথের সাথেই সংযুক্ত এই নারায়ণকোটি মন্দির। তাতেও এখনও সম্পূর্ণরূপে পর্যটক ও ভক্তদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি এই মন্দির। তাই ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক এই বিখ্যাত নারায়ণকোটি মন্দির উন্নয়নের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।